|
|
|
|
পার্শ্বশিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব, প্রধান শিক্ষককে মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
পার্শ্ব-শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মালদহের বৈষ্ণবনগর বেদরাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রধান শিক্ষক এবাইদুল্লা ইসলাম তাঁকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। কিন্তু স্কুল পরিচালন সমিতিকে সব কথা জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সে কথা চাউর হয়ে যায় গ্রামেও। অসন্তোষ বাড়তে থাকে। সোমবার প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসা মাত্রই গ্রামবাসীদের কয়েকজন এবাইদুল্লা ইসলামের উপরে চড়াও হয়। তাঁর বাইকটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক রামকৃষ্ণ দাসের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মাথায় ৫টি সেলাই দিতে হয়। |
|
জখম শিক্ষক। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রধান শিক্ষকের অবশ্য দাবি, “আমি চক্রান্তের শিকার। স্কুলে সব নিয়োগ এসএসসি-র মাধ্যমে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু যাঁরা অস্থায়ী ভাবে স্কুলে পড়াচ্ছেন, ঘুরপথে তাঁদের চাকরি পাকা করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাতে রাজি হইনি বলেই আমায় ফাঁসানো হয়েছে।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস চৌধুরী জানান, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই পার্শ্বশিক্ষিকা এ দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “বেশ কয়েকদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ফোনে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তারপরে শুক্রবার আমাকে ঘরে ডেকে শ্লীলতাহানি করেন। আমি কোনও মতে বাইরে এসে পরিচালন সমিতিকে জানাই। তা নিয়ে বৈঠকও হয় শনিবার। কিন্তু সেখানে কোনও সিদ্ধান্ত
হয়নি। তাই এই দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।”
স্কুল সূত্রের খবর, পরিচালন সমিতির বৈঠকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ছড়িয়ে যায় গ্রামেও। এর পরেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করা হয়। প্রধান শিক্ষক বলেন, “তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হবে।” |
|
|
|
|
|