বর্ষায় থই থই জল। ভৈরবের দুই পাড় ভরে গিয়েছে সবুজ কাশে। জেগে থাকা স্নানের ঘাট ডুবে গিয়েছে জলে। তারই মাঝে ভৈরবের পূর্ব পাড় সেজে উঠছে একটু একটু করে।
গ্রামীণ কারিগরি শিল্পকে ভিত্তি করে সেজে উঠছে ভৈরবের পাড়। কেন্দ্রীয় সরকারের সার্কিট ট্যুরিজম প্রকল্পে ইতিমধ্যেই পাড় ঘেঁষে তৈরি হয়েছে অধ্যাধুনিক স্নানের ঘাট ও পার্ক। জায়গায় জায়গায় বসেছে সৌর বাতির স্তম্ভ। ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে দুটি ঝা চকচকে সুলভ শৌচাগার। মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকার সৌন্দর্যায়নে ইতিমধ্যেই ৩৭ লক্ষ টাকার কাজ হয়ে গিয়েছে। আরও সম পরিমান অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ওই প্রকল্পে। পুরো কাজ কাজ শেষ হলে বদলে যাবে এলাকার চেহারা। |
কেবল ভৈরব নয়, ওই এলাকার পদ্মার পাড়ে উত্তরচর মাঝদেয়ারও সাজবে। প্রশাসনের তরফে সেখানে ওয়াচ টাওয়ার তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। সেখানে উঠে দেখা যাবে বাংলাদেশের রাজশাহি শহর। তাছাড়াও ডোমকলের জিৎপুর এলাকার শঙ্খশিল্পকে ঘিরেও সার্কিট ট্যুরিজম প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তার জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
ইসলামপুরের বাসিন্দা সাধন দে বলেন, “খাদি শিল্পের জন্য বিখ্যাত ইসলামপুরের নামটা প্রায় মুছতে বসেছিল। সরকারি সার্কিট ট্যুরিজমের মাধ্যমে আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। ভৈরবের পাড় সেজে উঠলে এই এলাকায় বহিরাগত পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। তাঁরা খাদির সঙ্গেও পরিচিত হবেন।” খাদি ব্যবসায়ী অবিনাশ গড়াই বলেন, “এমনিতেই এখন খাদির কদর বেড়েছে। পর্যটনের উন্নয়ন হলে এখানে আরও বেশি মানুষ আসবেন। এলাকার শ্রী বৃদ্ধির পাশাপাশি চাঙ্গা হবে স্থানীয় অর্থনীতি।”
ডোমকলের মহকুমাশাসক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, “এমনিতেই ভৈরবের পাড় সুন্দর। তারপর সার্কিট ট্যুরিজমের ওই এলাকা সেজে উঠলে সোনায় সোহাগা। রাতে সৌর আলোয় এলাকার অন্য রকম লাগবে। তবে সুলভ শৌচাগার, পার্ক গড়ার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে দর্শনীয় হয়ে উঠবে।” |