মুম্বই রোডে নিরাপত্তা বাড়াতে টহল দু’টি ভ্রাম্যমাণ স্কোয়াড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাওড়া |
‘ডিস্ক জকি’ (ডিজে)-দের উপরে হামলার ঘটনার পরে রাতের মুম্বই রোডে নিরাপত্তা জোরদার করতে দু’টি ‘হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড’ (এইচআরএফসি) মোতায়েন করল হাওড়া জেলা পুলিশ। একটি স্কোয়াড থাকছে উলুবেড়িয়া এবং বাগনান থানা এলাকার মুম্বই রোডের জন্য। অন্য স্কোয়াডটি কাজ করছে পাঁচলা, সাঁকরাইল এবং ডোমজুড় এই তিনটি থানা এলাকার মুম্বই রোডে। জেলায় মুম্বই রোড মূলত এই পাঁচটি থানা এলাকা দিয়েই গিয়েছে। স্কোয়াড ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা নাগাদ মোটরবাইক আরোহী জনা ছয় যুবক উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে গাড়িতে করে যাওয়া কলকাতার চার ‘ডিজে’র উপরে হামলা চালায়। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। কিন্তু ওই ঘটনার পরে ‘ডিজে’রা অভিযোগ তোলেন, ওই ছয় যুবক কোলাঘাট থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ধরে তাঁদের ধাওয়া করে। পুরো রাস্তায় পুলিশের কোনও টহলদারি ভ্যান ছিল না। ১০০ নম্বরে ডায়াল করে তিন বার তাঁরা পুলিশকে খবর দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রথম দু’বার ফোন চলে যায় অন্যত্র। তৃতীয় বার অবশ্য রাজ্য পুলিশ কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সেখান থেকে ‘ডিজে’দের সাঁকরাইল থানার নম্বর দেওয়া হয়। সেখানে ফোন করলে খবর যায় উলুবেড়িয়া থানায়। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এসে ডিজেদের উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেন রাজ্য পুলিশ কর্তারা। মুম্বই রোডে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য তাঁরা জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মুম্বই রোড সংলগ্ন পাঁচটি থানাই তাদের নিজের নিজের এলাকায় রাতে টহলদারি চালায়। এর সঙ্গে রয়েছে উলুবেড়িয়া এবং হাওড়া সদর এই দু’টি মহকুমা এলাকার জন্য পুলিশের আলাদা দু’টি নজরদারি দল। কিন্তু প্রতিটি দলকেই মুম্বই রোড ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও টহলদারি চালাতে হয়। ফলে অনেক সময় মুম্বই রোড ফাঁকা পড়ে যায়।
নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। কোলাঘাট থেকে ডোমজুড় পর্যন্ত বিস্তৃত এত বিশাল এলাকার নিরাপত্তা মাত্র দু’টি স্কোয়াড দিয়ে কী করে সম্ভব? জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রয়োজনে বিভিন্ন থানা এলাকার টহলদারি পুলিশের সহায়তা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে স্কোয়াডের সংখ্যা বাড়তে পারে। |