মহম্মদবাজারের শোতশাল, মাড়গ্রামের হাজারপুর এবং মুরারই। গত চার মাসের ব্যবধানে জেলায় ডায়েরিয়ার মৃতের সংখ্যা তিন। মুরারই ১ ব্লক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ সেপ্টেম্বর রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ডায়েরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২২৫। শয্যা ৫০। বেড না পেয়ে অনেককেই মেঝেতেই থাকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সূত্রে খবর, রবিবার রাত পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি ডায়েরিয়ায় আক্রন্ত হয়ে ভর্তি হন। শনিবার মনু শেখ নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে আর কেউ মারা যায়নি বলে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রবীর মাড্ডি। তবে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য এলাকাবাসী থেকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ সকলেই পরিস্রুত পানীয় জলের পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়াকেই দায়ী করেছেন।
মুরারই পোস্টঅফিস মোড় থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেল, যত্রতত্র জলের পাইপ ফুটো। বর্ষার সময় নোংরা জল পাইপের জলের সঙ্গে মিশে যায়। বাড়িতে বাড়িতে জল নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই পাইপ ফুটো করেছেন বলে দাবি প্রশাসনের। |
ভাদিশ্বর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স পাপিয়া মজুমদার বলেন, “ওই এলাকায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এলাকার মানুষ ঘোলা জল পান করছেন। ফলে ওই এলাকার ডায়েরিয়া প্রথম দেখা দেয়। পরে মুরারই নতুন বাজার এলাকা, রেল লাইনের পাড়ে কুমোড় পাড়া-সহ ধিতোড়া গ্রামে ডায়েরিয়া দেখা যায়।” রামপুরহাট মহকুমা সহকারী মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রসেনজিৎ মজুমদারের দাবি, “পাইপ লাইনের জল ভাদিশ্বর লাগোয়া গোপালপুর গ্রামে না পৌঁছয়নোয় ডায়েরিয়া দেখা দেয়নি। আবার মাকুয়া গ্রামে পাইপ লাইনের জল না পৌঁছলেও সেখানে পুকুরের দূষিত জল ব্যবহারে ডায়েরিয়া হয়েছে।” এ দিকে, মুরারই ১ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী না থাকার জন্য হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই ১ ব্লক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্তমানে বিএমওএইচকে নিয়ে ৫ জন চিকিৎসক এবং ৯ জন নার্স, ২০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী আছে। থাকার কথা ৯ জন চিকিৎসক, ১৬ জন নার্স, ৩০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। আবার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকদের মাঝে মাঝে রাজগ্রাম ও চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। চিকিৎসক নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে বলে জানান বিএমওএইচ প্রবীর মাড্ডি। |