নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
হাইকোর্টের সঙ্গে আলোচনা করেই জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ নির্মাণ নিয়ে সংশয় কাটাতে চায় রাজ্য।
জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে সার্কিট বেঞ্চের জন্য প্রায় ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে জানান, হাইকোর্টের একটি প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের জায়গা ঘুরে গিয়ে জমি কম রয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে। তাতেই সার্কিট বেঞ্চ নির্মাণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়পুরে বেঞ্চের জন্য অধিগৃহীত জমির পাশে, বর্তমানে ফাঁকা পড়ে থাকা জমির পরিমাণ বেশি নয়। তা হলে নতুন করে কোথায় জমি পাওয়া যাবে? লাগোয়া এলাকায় জমি না মিললে বর্তমান জায়গার পরিবর্তে ফের অন্যত্র স্থায়ী ভবনের জন্য জমি খুঁজতে হবে কি? ইতিমধ্যে অধিগৃহীত জমি ঘিরতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচিল তৈরির কাজও শেষের পথে। সেই পাঁচিলও কি ভেঙে ফেলতে হবে?
চন্দ্রিমা অবশ্য বলেন, “আমরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলব।” গত বছরের সেপ্টেম্বরে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলও। এর পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজ শুরুর ৪ দিনের মাথায় হাইকোর্টের তরফে ভবনের নকশা নিয়ে আপত্তি জানানোয় নির্মাণ বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে, স্থায়ী ভবনের নকশা তৈরি সবই হাইকোর্টের অনুমোদন স্বাপেক্ষেই করা হয়েছিল। হাইকোর্টের অনুমোদনের পরেই স্থায়ী ভবনের কাজ শুরু হয় বলে রাজ্য সরকারের দাবি।
রাজ্য সরকারের হাইকোর্টের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ দাবি আদায় সমন্বয় কমিটির সম্পাদক কমলকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এখনও আশাবাদী।” জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। যে ভাবেই হোক দ্রুত সার্কিট বেঞ্চ চালু করতে হবে।” তৃণমূলের লিগাল সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দাস বলেন, “একবার শিলান্যাস হওয়ার পরে, নকশা বা অন্য কিছু নিয়ে জটিলতার প্রশ্ন আসায়, আমরা হতবাক।” |