হলদিয়া নিয়ে এ বার বৃহত্তর প্রতিরোধের পথে যেতে চাইছে সিপিএম। তাদের অভিযোগ, শুধু হলদিয়া পুরসভাই নয়, শাসক দলের দৌরাত্ম্যে গোটা শিল্পাঞ্চলই সমস্যায় ভুগছে। যে অগণতান্ত্রিক কায়দায় পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল চলছে, তা-ই চলতে থাকলে তাদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে বলে রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শীঘ্রই হলদিয়ায় সমাবেশ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে সিপিএম।
হলদিয়া পুরসভায় বাম বোর্ড গত বছর ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংঘাত তুঙ্গে। সিপিএমের অভিযোগ, আইন ও বিধিসম্মত নোটিস ছাড়াই সেখানে তৃণমূল বারবার অনাস্থা প্রস্তাব আনছে। বোর্ড মিটিং বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের কাউন্সিলরদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ভাবে পুরবোর্ডের কাজে বাধা দিয়ে হলদিয়ায় উন্নয়নকেই আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ সবের প্রেক্ষিতেই শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
দলের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠক উপলক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সিপিএম নেতৃত্ব দু’দিন ধরে কলকাতায় ছিলেন। জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন তমালিকা পণ্ডা শেঠ এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রবীন দেবকে পাশে নিয়ে রবিবার আলিমুদ্দিনে সূর্যবাবু অভিযোগ করেন, এর প্রভাব হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে পড়ছে। হলদিয়া বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ আর সম্প্রসারণ করতে চাইছেন না। নয়াচরে পিসিপিআইআর-এর বদলে মাটি কেটে মাছ চাষের ব্যবস্থা হচ্ছে। সূর্যবাবুর প্রশ্ন, “এত কিছু করেও পুরসভা দখল করতে না-পেরে ওঁদের (তৃণমূল) রাগ হতে পারে। কিন্তু রাগ তো আমাদের দলের উপরে। শিল্পাঞ্চল কী দোষ করল?” কাউন্সিলরদের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও তমালিকার বিরুদ্ধে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। সে সবের প্রেক্ষিতেই এ দিন সূর্যবাবুর বক্তব্য, “সরকারকে সতর্ক করে দিচ্ছি, এই যদি চলতে থাকে, তা হলে বড় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” তমালিকাও বলেছেন, “নির্বাচিত পুরবোর্ডকে অগণতান্ত্রিক ভাবে ধারাবাহিক বাধা দিয়ে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
|