|
|
|
|
এ বারও তৃণমূলের অনাস্থায় আমল দিলেন না পুরপ্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
২ মে-র পর ২৩ অগস্ট। তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘বিধিসম্মত নয়’ জানিয়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইলেন না সিপিএম পরিচালিত হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ।
গত ২৩ অগস্ট তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলরের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠির উত্তরের ফটোকপি বুধবার কাউন্সিলরদের হাতে দেওয়া হয় পুরসভার তরফে। অবশ্য, তার আগেই জেলাশাসক ও মহকুমাশাসককে ডাকযোগে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পুরপ্রধান তমালিকাদেবী বলেন, “তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওই চিঠি আইন ও বিধিসম্মত নয়। আইনজ্ঞের সঙ্গে পারমর্শ করেই চিঠির উত্তর দেওয়া হয়েছে।” তাঁর ব্যাখ্যা, তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে মাত্র এগারো জনের স্বাক্ষর ছিল। তা ছাড়া অনাস্থা আনার ক্ষেত্রে আইনি পদ্ধতিও মানা হয়নি। তিনি বলেন, “২ মে প্রথমবার অনাস্থা আনে তৃণমূল। তা বাতিল হয়। তার ছ’মাসের মধ্যে-ই ফের অনাস্থার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুর আইন অনুযায়ী, একবার অনাস্থা ভেস্তে গেলে তার ছ’মাসের মধ্যে অনাস্থা আনা যায় না।”
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগস্ট অনাস্থা চিঠিতে অনাস্থার কারণ হিসাবে বিরোধী তৃণমূল উল্লেখ করেছিল, পুরপ্রধানের অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা, একগুঁয়েমি আচরণ ও গত ছয় মাসে উন্নয়নে ব্যর্থতা। হলদিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “নিজের দলের কাউন্সিলারদের প্রতি আস্থা নেই বলেই অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চাইছেন না চেয়ারপার্সন। নির্দিষ্ট দিন পযন্ত অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।” এ দিকে, পুরসভায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের দ্বন্দ্বে পুরবাসীর একাংশ বীতশ্রদ্ধ। তাঁরা চান নাগরিক পরিষেবা। হলদিয়ার মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর বলেন, “চিঠি পেয়েছি। তবে এ ব্যাপারে আমার কোনও ভূমিকা নেই।” |
|
|
|
|
|