সৌদি আরবের রেফারি ইদাম মহম্মদ পরপর দুটো পেনাল্টি দেওয়ায় রাগে খেলার শেষ দিকে পুরো টিমকে তুলে নিতে চেয়েছিলেন আফগানিস্তান কোচ ইউসিফ কারগার। এবং মাঠ থেকে বিলাল, মনসুরদের ডাকতে যাওয়ায় গ্যালারি থেকে জলের বোতল, ইট এবং মোবাইল উড়ে এসে পড়ে তাঁর উপর। ম্যাচ কমিশনারের হস্তক্ষেপে এবং পুলিশ রিজার্ভ বেঞ্চে কর্ডন করায় শেষ পর্যন্ত জিতে ফাইনালে গেলেন বিলাল-রাই।
দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে হারানো কঠিন ছিল। স্টেডিয়াম ভর্তি করে আসা প্রায় হাজার তিরিশ দর্শকের শব্দব্রহ্মে প্রায় কেঁপে গিয়েছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে উপরে থাকা আফগানরাও। নেপাল কিপার কিরণ কুমারের হাত থেকে ছিটকে আসা বল থেকে শুরুতেই গোল পেয়ে যান সঞ্জার আহমেদ। তার পর নেপাল চেপে ধরে আফগানদের। প্রচুর সুযোগও তৈরি করে। প্রচণ্ড মারতেও থাকে। ভরত খাওয়াসেক-এর কনুইয়ের গুঁতোয় মাঠেই অজ্ঞান হয়ে যান আফগান ডিফেন্ডার ফারজাদ ঘুলাম। তাঁর বুকের উপর উঠে পাম্প করতে দেখা যায় দলের ডাক্তারকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল, হয়তো জুনিয়রের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। ফারজাদের সতীর্থরা প্রার্থনায় মাঠেই হাত জোড় করে বসে থাকেন। ফারজাদকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও রাত পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি।
এ সবের মধ্যেও কিন্তু রেফারি অন্যায় ভাবে দু’বার পেনাল্টি দেন। প্রথম পেনাল্টি আফগান গোলকিপার মহম্মদ রফি আটকে দেওয়ার পরেও ফের বক্সে তাঁদের ফুটবলার ঢুকে পড়েছেন বলে ফের পেনাল্টি দেন রেফারি। দু’টোই নষ্ট করেন এক সময় বেঙ্গালুরুর হ্যালে খেলে যাওয়া রোহিত চাঁদ। তাঁর নামে রাস্তায় রাস্তায় কুশপুতুল পুড়ছে রাত থেকেই। আফগান কোচ বলে দেন, “ওই পেনাল্টিটা ছিল না।” |