বাংলা ক্রিকেটের উঠতি প্রতিভাদের নিয়ে খড়্গপুরে শুরু হল আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবির। খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে এই শিবিরে যোগ দিয়েছেন বাংলার অনুর্ধ্ব উনিশ দলের ৩১ জন ক্রিকেটার। জুনিয়র ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সিএবির এই উদ্যোগ। গত বছর অনূর্দ্ধ উনিশ বাংলার পারফরম্যান্স একেবারে ভাল ছিল না। সিএবি মনে করছে, এমন আবাসিক শিবিরের ফলে উঠতি প্রতিভারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ক্রিকেট কোচ সুশীল শিকারিয়া বলছেন, “জেলা থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। এই উদ্যোগের ফলে জুনিয়র ক্রিকেটের উন্নতি হবে।” পরবর্তীকালে অনূর্দ্ধ ষোলো দলের ক্রিকেটারদের নিয়েও আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবির হবে। |
অনুর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন গৌতম সোম। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এই শিবিরে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের নিয়েই গত শুক্রবার সিএবিতে ‘মোটিভেশন’ ক্লাস করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, সবার আগে নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখাটা জরুরি। এমন ক্লাসের ফলে উঠতি ক্রিকেটাররা মানসিক দিক থেকে আরও দৃঢ় হবেন বলেই মনে করে সিএবি। পরদিনই পুরো দল চলে আসে খড়্গপুরে। ওই দিন থেকে শুরু হয় শিবির। চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে শিবিরে এসে নতুনদের উৎসাহ দিতে পারেন দীপ দাশগুপ্ত। বস্তুত, খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি জন্য উদ্যোগী হয়েছে আইআইটি এবং সিএবি, দুই কর্তৃপক্ষই। ইতিমধ্যে মাঠ দেখে গিয়েছেন পিচ কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন জুনিয়র ক্রিকেটের হেড কোচ গৌতম সোম সহ সিএবির পদস্থ কর্তারা। এখন শুধুমাত্র কল্যাণীতেই সিএবির ক্রিকেট অ্যাকাডেমি রয়েছে। খড়্গপুর আইআইটিতে দ্বিতীয় অ্যাকাডেমি গড়ার চেষ্টা চলছে। বোর্ডের পরিভাষায় এই অ্যাকাডেমিকে বলে ‘স্যাটেলাইট অ্যাকাডেমি’। দ্বিতীয় অ্যাকাডেমি হলে সবদিক থেকেই সুবিধে। এরফলে, কল্যাণীর উপর চাপ কমবে। বাংলা ক্রিকেটে সবমিলিয়ে সাতটা বিভাগ রয়েছে। এদিকে, কল্যাণীর অ্যাকাডেমিতে সকলকে একসঙ্গে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে, কিছু সমস্যা হয়। খড়্গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে ক্রিকেট অ্যাকাডেমির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পরিকাঠামোই রয়েছে। যেমন মাঠ, গেস্ট হাউস, সুইমিং পুল প্রভৃতি। ফলে, অ্যাকাডেমির জন্য এই ক্যাম্পাসটি উপযুক্ত। অনূর্দ্ধ উনিশ ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সিএবির জুনিয়র ক্রিকেটের হেড কোচ গৌতম সোম। সঙ্গে রয়েছেন রাজীব দত্ত, অমিত শর্মা, সুশীল শিকারিয়া প্রমুখও। চলছে প্র্যাকটিস, নেট সেশন সহ সবকিছুই। সকাল হলেই শুরু হচ্ছে মাঠে ঘাম ঝরানো। এক প্রাক্তন ক্রিকেটার বলছেন, “নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা তুলে ধরতে হলে তো এ ভাবে মাঠে নেমে ঘাম ঝরাতেই হবে। সাফল্য পেতে পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই।” |