কোথাও চকোলেটের মূর্তি, কোথাও সুতোর, চটক মণ্ডপেও |
গণেশ বন্দনায় থিমের বাহার রেলশহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
আজ, সোমবার গণেশ বন্দনায় মুখর হবে নানা প্রদেশের বহু ভাষাভাষি মানুষের ‘মিনি ইন্ডিয়া’ খড়্গপুর। রেলশহরে এ বার ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় তিনশোটি গণেশ পুজো। অন্যান্য সর্বজনীন পুজোর মতোই গণেশ পুজোতেও থিমের রমরমা।
শহরের মালঞ্চ, নিউ সেটেলমেন্ট, মথুরাকাটি ও নিমপুরা এলাকায় গণেশ পুজোর সংখ্যা সব থেকে বেশি। মালঞ্চ রোডের ছত্রিশপাড়ার বেঙ্গল বয়েজ ক্লাবের পুজোর এ বার ২০ বছর হল। ২৫ ফুটের মণ্ডপে মন্দিরের আদল। সাড়ে ১০ ফুটের মূর্তিটি তৈরি হয়েছে সুতো দিয়ে। পুজো চলবে সাত দিন ধরে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ৫০ জন দুঃস্থ পড়ুয়াকে পুস্তক বিতরণ ও ২৫ জন দরিদ্রকে বস্ত্রদান করা হবে। গণেশ পুজো কমিটির সম্পাদক শ্রীনিবাস রাও বলেন, “বিশ তম বর্ষে নতুন কিছু করতে গিয়েই এই আয়োজন।” |
|
শেষ বেলার সাজগোজ মোহনপুরে। |
নিউ সেটেলমেন্টের তেলুগু পাড়ায় বুব্বলি বয়েজ ক্লাবের মণ্ডপে সাবেকিয়ানার ছাপ থাকলেও মূর্তি গড়া হয়েছে চকোলেট দিয়ে। এই পুজোর এ বার ২৫তম বর্ষ। কমিটির কোষাধ্যক্ষ কিরণ কুমারের কথায়, “এ বছর কিছু অসুবিধা থাকায় বাজেট কমাতে হয়েছে। তাই মণ্ডপ থিমের করার ইচ্ছে থাকলেও হয়নি।” একই ভাবে নিমপুরার গোল্ডেনচকে কড়ি-ঝিনুকের সমন্বয়ে বিশালাকার গণেশ মূর্তি, নিউ সেটেলমেন্টের ওয়াই টু কে ক্লাবের থিমের পুজো হচ্ছে চোখধাঁধানো।
কমেনি সাবেক পুজোর চলও। ওল্ড সেটেলমেন্টের রয়্যাল স্টার ক্লাবের দশ বছরের পুজোয় এ বার মন্দিরের আদলে কাঠ-কাপড়ের সাবেক মণ্ডপ। মূর্তি প্রায় ১২ ফুটের। ক্লাবের কর্মকর্তা পি কিরণ বলেন, “আমরা এখনও থিমের দিকে ঝুঁকিনি। তবে ভবিষ্যতে ভাবতে হবে মনে হচ্ছে।” মুম্বইয়ের আদলে তিন থেকে পাঁচ মাথার গণেশের ব্যাপক চাহিদাও চোখে পড়ছে এ বার। |
খড়্গপুরের পথে নারকেল দড়ির গণেশ। |
মণ্ডপের যাচ্ছেন সিদ্ধিদাতা, সাজোয়ালে। |
|
থিমের রমরমরা থাকলেও দুর্মূল্যের বাজারে মুনাফা পাচ্ছেন না মূর্তির শিল্পী, মণ্ডপের কারিগরেরা। মূর্তিশিল্পী অরুণ দাস বলেন, “এ বছর তিনটি থিমের মূর্তি গড়েছি। তাছাড়াও মাটির মূর্তি রয়েছে। থিমের কাজে সময় বেশি লাগায় অনেক ওর্ডার নিতে পারিনি।” দুর্ম্যূল্যের বাজারে ইন্দার মৃৎশিল্পী ভোলা সোমেরও বক্তব্য, “থিমের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু জিনিসপত্রের যা দাম তাতে মুনাফা হচ্ছে না।” গোলবাজারের বাসিন্দা মৃৎশিল্পী কমল ঘোষ বলেন, “এখন যা বাজার থিমের মূর্তি গড়েও খুব বেশি লাভ হয় না।”
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|