|
|
|
|
বাড়ছে চুরি-ছিনতাই, পথে তৃণমূল, সরব ব্যবসায়ীরাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
শহরে চুরি, ছিনতাই থেকে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ায় সরব হল ব্যবসায়ী সমিতি। শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর টাউন থানার আইসি অরুণাভ দাসের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন সমিতির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, শহর জুড়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। চলছে জুলুমবাজিও। সম্প্রতি গোলবাজারে পরপর পাঁচটি দোকানে চুরি, বাসস্ট্যান্ডে চুরি হলেও তদন্তে সেগুলির কিনারা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এছাড়াও সম্প্রতি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সুযোগ না দিয়ে বাইরের মিনিট্রাকে পণ্য বোঝাইয়ের অভিযোগ ওঠে। এ দিন ব্যবসায়ী সমিতি উল্টো পথে হেঁটে সেই দাবিরও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ দিন ব্যবসায়ী সমিতি উল্টো পথে হেঁটে সেই দাবিরও প্রতিবাদ জানিয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের জেলা সম্পাদক রাজা রায় বলেন, বিভিন্ন বাজার এলাকায় চুরি বাড়ছে। তাই আমরা পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করার দাবি করেছি। এছাড়াও স্থানীয় কিছু মিনিট্রাক ড্রাইভারের দাবি নিয়েও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। সমাজবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে রবিবার শহরে বাইক ও গাড়ি নিয়ে মিছিল করে তৃণমূল। ইন্দা থেকে ট্রাফিক, গোলবাজার, বড়বাতি, মালঞ্চ হয়ে মিছিল শেষ হয় বড়বাতিতেই। নেতৃত্বে দেন পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান জওহরলাল পাল। ছিলেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো। সিপিএমের বাংলাভাগের চক্রান্ত ও রেলশহরে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করা-সহ মোট ৯ দফা দাবিতে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল করে। জওহরবাবু বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আমাদের সংশয় নেই। তবে সমাজবিরোধী শক্তি যাতে প্রশ্রয় না পায়, আবেদন জানাচ্ছি।” খড়্গপুরের আইসির দাবি, “অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিই। ইন্দা, বাসস্ট্যান্ড, গোলবাজার, পুরাতনবাজার এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশি টহলদারি আরও বাড়বে।” |
|
|
|
|
|