|
|
|
|
আদিবাসী জমি |
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে তোপ জয়রামের
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিই আদিবাসী সম্প্রদায়কে তাদের জমি থেকে উৎখাত করার বিষয়ে বেশি দায়ী বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। রমেশের মতে, আর এই কারণেই কিছু এলাকায় মাওবাদীদের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে।
জাতীয় তাপবিদ্যুৎ সংস্থার (এনটিপিসি) এক উচ্চপদস্থ অফিসার কেন্দ্রের নতুন জমি আইনের সমালোচনা করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাজারিবাগের কেরেদারি ব্লকে জমি অধিগ্রহণের সময়ে এনটিপিসি-র নীতির কড়া সমালোচনা করেন রমেশ। ওই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ে পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হন। রমেশের মতে, অধিগ্রহণের সময়ে পুলিশের সাহায্য চেয়ে ভুল করেছিল ওই সংস্থা। পুলিশের গুলিতে কেউ নিহত হলে আর সেই জমি অধিগ্রহণ করা যায় না। তাঁর মতে, জোর করে অধিগ্রহণের দিন চলে গিয়েছে। সংস্থাগুলিকে তা বুঝতে হবে।
রমেশের বক্তব্য, “মানুষকে উৎখাত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ভূমিকা বেসরকারি সংস্থার চেয়ে খারাপ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি। মাওবাদী এলাকাগুলিতেই এই ঘটনা বেশি ঘটেছে। তাই মাওবাদীদের প্রভাবও বেড়েছে।”
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর মতে, মাওবাদী সমস্যার মূলে রয়েছে জমি অধিগ্রহণ। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মানবিক নীতি নিলে মাওবাদী সমস্যা মেটাতে অনেক সুবিধা হবে। তাঁর বক্তব্য, “অনেক ক্ষেত্রেই আদিবাসীরা যে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেয়ে উৎখাত হয়েছেন তাতে সন্দেহ নেই। তাঁদের পুনর্বাসনেরও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। বিশেষত, কয়লাখনি ও সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে।”
রমেশের মতে, নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। তাঁর কথায়, “১৮৯৪ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের আদিবাসী এলাকায় মাওবাদী সমস্যা বাড়িয়েছে।”
এখন জমি অধিগ্রহণ আইন ছাড়াও ভারতীয় রেল আইন, জাতীয় সড়ক আইন, খনি জমি অধিগ্রহণ আইনেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এক বছরের মধ্যে রেল, জাতীয় সড়ক, খনি-সহ সব ধরনের অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের বিষয়টি নতুন জমি আইন মেনে হবে বলে জানিয়েছেন রমেশ। |
|
|
|
|
|