কাবুলিওয়ালার বাঙালি বৌ সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তালিবানই খুন করেছে না কি অন্য কোনও চক্রান্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা উচিত বলে দাবি করছেন সুস্মিতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।
সুস্মিতার কলকাতার বন্ধু শালিনী নস্করের সঙ্গে গত এক মাস ধরে ফেসবুকের মাধ্যমে সুস্মিতার কিছু কথাবার্তা হয়েছিল। সেই কথার উপর ভিত্তি করেই শালিনীর দাবি, গত এক মাস ধরে জানবাজ খানের সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না। এ দিন কসবায় নিজের ফ্ল্যাটে বসে শালিনী জানান, ৫ সেপ্টেম্বর সুস্মিতার দিল্লির জন্য রওনা হওয়ার কথা ছিল। শালিনী সংবাদমাধ্যমকে ফেসবুকের বার্তাগুলিও দেখান। সেখানে চার সেপ্টেম্বর সকাল ন’টা নাগাদ যে কথাবার্তা হয়, তাতে সুস্মিতা জানান, ফেরার জন্য তাঁর ব্যাগ গোছানো শেষ। সেই রাতেই খুন হন তিনি। এর পিছনে সত্যিই তালিবান রয়েছে কি না তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন শালিনী।
শালিনীর দাবি, সুস্মিতা তাঁকে জানিয়েছিলেন, জানবাজের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হচ্ছে। দেওর মুশার স্ত্রীর সঙ্গে জানবাজের বিয়ের কথাবার্তা চলছে বলেও সুস্মিতা লিখেছিলেন। মুশা বছরখানেক আগে কলকাতায় একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। পাশাপাশি শালিনীর দাবি, গত এক মাসে সুস্মিতার সঙ্গে দিল্লির বাসিন্দা দীপক কুমার নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়। দীপক কুমারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুস্মিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা বিয়ে করে একসঙ্গে জীবন কাটাব বলে স্থির করেছিলাম।” দীপক নিজে অবশ্য বিবাহিত, তাঁর তিনটি সন্তানও রয়েছে। এ দিন কাবুলে জানবাজদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে দেখা যায়, ফোন বন্ধ। সুস্মিতার দাদা গোপালবাবু ও তাঁর স্ত্রী দেবলীনা অবশ্য সুস্মিতার সঙ্গে জানবাজের সম্পর্কের অবনতির কথা জানতেন না বলে জানিয়েছেন। তবে দেবলীনারও প্রশ্ন, “সুস্মিতার রওনা হওয়ার আগের রাতেই তার উপর হামলা হল কেন?” দেবলীনা ও গোপালবাবুর দাবি, সব রহস্য সমাধান হওয়ার জন্যই সুস্মিতার দেহ দেশে আনা দরকার।
|
চার সেপ্টেম্বর সকাল ন’টা |
শালিনী: বল
সুস্মিতা: গুড মর্নিং, কাল কাবুল যাব। পরশু ইন্ডিয়া। |
|