|
|
|
|
বিভাগীয় সম্পাদক সমীপেষু |
গত সোমবার আনন্দplus-য়ে প্রকাশিত স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের চিঠি পড়ে জবাব
দিলেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রত্যুত্তর দিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও
|
স্বস্তিকা, কফি শপে
পরিচালকদের ডাকবেন না |
বিভাগীয় সম্পাদক সমীপেষু,
আনন্দplus |
গত ২ সেপ্টেম্বর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের চিঠি প্রসঙ্গে আমার কয়েকটি বক্তব্য আছে:
১. স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের চিঠিটা মিথ্যাচারে ভরপুর। একটা মিথ্যেকে ঢাকতে আরও মিথ্যে। কিন্তু কার্য-কারণ সম্পর্কহীন।
২. যে বিশেষ ইন্টারভিউ তিনি ওই কফিশপে দিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন, তা আজও প্রকাশিত হয়নি। বরং তার দু’দিনের মধ্যে আমার সঙ্গে তিনি কাজ করছেন সেই খবরটিই প্রকাশিত হয়।
৩. ‘চারুলতা ২০১১’ দেখেই যদি উনি বুঝে গিয়ে থাকেন যে আমি একজন ‘সস্তার গিমিকবাজ’ পরিচালক ছাড়া আর কিছুই নই, তখন আমার দ্বিতীয় ছবির স্টোরি শুনতে আগ্রহী হলেন কেন?
৪. ‘তিন কন্যা’ নাকি তিনি ‘বাউন্ড স্ক্রিপ্ট’-এর অভাবে করেননি। অথচ ‘তিন কন্যা’ রিলিজের দিন দুয়েক আগে আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন: ‘ছবির স্ক্রিপ্ট তাঁর ভাল লাগেনি।’ কোনটা সত্যি?
৫. ‘চারুলতা ২০১১’ দেখে তিনি নিজে আমায় টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে জানান যে, আমার ছবি দেখে উনি ও ওঁর মা মুগ্ধ এবং আমার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সে মেসেজ এবং বাকি মেসেজ চাইলে সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে আনন্দবাজারকে পাঠাতে পারি।
৬. আনন্দplus-এ প্রকাশিত আমার সাক্ষাৎকার পড়ে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তা হলে জানাই সে আঘাত অনভিপ্রেত। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবু যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। ইন্ডাস্ট্রি যে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছি মাত্র।
৭. “অন্যকে গালাগালি দিয়ে ফেমাস” হওয়ার চেষ্টা যদি কারও থেকে থাকে, তা হলে তার নাম সবার কাছে স্পষ্ট। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তিনি আমার ছবি করছেন-বা কেন করছেন না-আর করা উচিত কিনা এ সব খবরকে আশ্রয় করে লাইমলাইটে আসার কোনও সুযোগই হাতছাড়া হতে দেননি।
সব শেষে স্বস্তিকাকে একটাই অনুরোধ, এর পর কফিশপে ছবির গল্প শুনতে কোনও পরিচালককে ডাকবেন না। এতে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে ছোট করা হয়। কফিশপের কফি, মিউজিক আর ভিড় ও চিৎকারে চরিত্রগুলোকে বুঝতে ভুল হয়। আর শুরু হয় ‘ভুল বোঝাবুঝি’। এ ভুল বোঝাবুঝির শেষ হোক।
|
ইতি
অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় |
অনেক দিন পর মন খুলে হাসলাম |
বিভাগীয় সম্পাদক সমীপেষু,
আনন্দplus |
অগ্নিদেবের চিঠিটা পড়ে অনেক দিন পর মন খুলে হাসলাম। বুঝলাম ওঁর চিঠির মধ্যে ফিকশনের এত উপাদান আছে, সেই ফিকশনের এক শতাংশও যদি নিজের ফিল্মে ব্যবহার করতেন তা হলে অন্তত টালিগঞ্জের পরিচালকদের মধ্যে কিছুটা নাম করলেও করতে পারতেন। আপনাদের দফতরে অগ্নিদেবের পাঠানো এসএমএস ও ইমেল দেখলেই বুঝবেন মানুষ হিসেবে উনি কেমন।
আর ইমেলে এই ছবিগুলো দেখার পর আমি কী ভাবব? একটা রেপ কেস যাতে থ্রিসাম লেসবিয়ান অর্জি আছে? এটাই ওঁর কাজের ধরন। প্রথম দিন থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মিসলিড করা। এতটাই অসৎ উনি।
আর ২০০৮-এর পর আমি আনন্দবাজারে কোনও সাক্ষাৎকার দিইনি। ‘তিন কন্যা’র স্ক্রিপ্টও পড়িনি, সুতরাং সেটা নিয়ে আনন্দবাজারে আমি ইন্টারভিউ দেব এটা সম্ভবই নয়।
পরিশেষে বলি, টলিউডের বেশির ভাগ মিটিংই কফিশপে হয়। তাতে বহু কফিশপে কাজ করা মানুষের দিন চলে। তাই ‘বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পকে ছোট করা হচ্ছে কফিশপে মিটিং করে’ মার্কা
সস্তা মন্তব্য ওঁর শিক্ষা আর রুচির পরিচয় দেয়। |
ইতি
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
|
|
ইমেলে অগ্নিদেবের
পাঠানো
ছবিগুলোর একটি |
|
স্বস্তিকাকে পাঠানো অগ্নিদেবের এসএমএস |
ওকেজ, নিউজ তো ব্রেক হচ্ছে...অ্যাজ ইট ইজ মাই পিআর ইজ সো ব্যাড, আই জাস্ট ক্যান নট হ্যান্ডল দিজ নিউজ পারসনস...দ্য ফাইনাল স্টোরি হ্যাজ বিন লকড্... অ্যাজ অফ নাও, ডোন্ট ডিজক্লোজ এনি ডিটেলস,ওয়ার্মলি |
ফাইনাল কাস্টিং ঋতু, স্বস্তিকা, পার্নো...উইমেন পাওয়ার |
পাওলি করল না, সাইটিং ডেট প্রবলেমস...বাট আই গেস শি হ্যাজ আ প্রবলেম উইথ বোথ ইউ অ্যান্ড ঋতু :)
ইয়োর সিস্টার কলড। শি উইল বি মিটিং মি টুমরো। |
অ্যাকচুয়ালি আনলাইক দ্য পার্ক স্ট্রিট রেপ কেস, দিজ ইজ অ্যাবাউট আ প্রস্টিটিউট বিইং রেপড অ্যান্ড ইটস আফটারমাথ।
বাট দ্য রিয়েল স্টোরি অফ দ্য ফিল্ম ইজ অ্যাবাউট ইয়োর রিলেশনশিপ উইথ ঋতু অ্যান্ড দ্য এইচআইভি টুইস্ট... |
ওয়ার্কিং উইথ মি অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং মাই স্টাইল ইজ নট ভেরি ইজি। অ্যাপার্ট ফ্রম দ্যাট হোয়াটএভার ইউ হ্যাভ রিটেন ইন দ্য মেল, ইজ আ ফ্র্যাগমেন্ট অব ইয়োর ইম্যাজিনেশন, হুইচ ইজ বেস্ট লেফ্ট আনডিস্টার্বড। অ্যাম শিয়োর মাই ইগো উইল রিফ্রেন মি ফ্রম ওয়ার্কিং উইথ ইউ এভার এগেন। নেভারদ্যলেস, আই উইশ ইউ অল দ্য সাকসেস ফ্রম দ্য বটম অব মাই হার্ট।
ওয়ার্মলি... |
(এই প্রসঙ্গে পুনরায় আর কোনও চিঠি প্রকাশিত হবে না) |
|
|
|
|
|
|