বানের জলে তলিয়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। চাষের জমি, নলকূপ ফের কবে জেগে উঠবে জানা নেই। অসহায় মানুষ গাছে মাছা বেঁধে কিংবা বাড়ির ছাদে দিন কাটাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে ফুলহার নদীর জল। টানা দশ দিন কেটে যাওয়ার পরেও বিলাইমারি, মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বানভাসিদের কাছে ন্যূনতম সাহায্যটুকু প্রশাসনের কর্তারা পৌঁছে দিতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে স্পিড বোটে রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি এলাকার বন্যা কবলিত এলাকা ঘোরার সময় বন্যা দুর্গতের ক্ষোভের মুখে পড়েন জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার। বানভাসিরা সমস্বরে জানান, “পানীয় জল নেই, সরকারি কোনও সাহায্যও মেলেনি। টানা দশ দিন এভাবে কখনও গাছের উপর, কখনও বাঁধের উপর দিন কাটাচ্ছি। আমরা এভাবে আর কত দিন পড়ে থাকব?” |
বানবাসিদের সামনে দাঁড়িয়েই জেলা ত্রাণ দফতরের আধিকারিকদের ফোন করে রবিবার থেকে রতুয়ার বন্যা কবলিত এলাকায় জলের প্যাকেট সরবরাহের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, “রবিবার থেকে ত্রাণের কোনও অসুবিধা হবে না। জলের প্যাকেট, পলিথিন পৌঁছে দেওয়া হবে। ত্রাণ না পেলে বিডিওকে, আমাকে জানাবেন।”
বাঁধের উপর আশ্রয় নেওয়া বিলাইমারির চাঁদপুর গ্রামের মনসুর শেখ, শের মহম্মদ আলি, সামসের আলিরা সমস্বরে অভিযোগ করেন,“ এখনও পযর্ন্ত ত্রাণ তো দূরের কথা একটি পলিথিন পর্যন্ত পাইনি।”
এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ও বলেন,“ মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি ৭৫ হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অথচ এখনও পর্যন্ত ত্রাণের দেখা নেই।”
জেলা সেচ দফতরের নিবার্হী বাস্তুকার (গঙ্গা) অমরেশ কুমার সিংহ বলেন, “গঙ্গার জল কমতে শুরু করেছে। এই প্রবণতা আরও কয়েকদিন থাকবে। কিন্তু ফুলহারে জল বাড়ছে। আশা করছি নতুন করে অবস্থার অবনতি হবে না।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জেলার চারটি ব্লকে ৯০ টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। |