তরুণী বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আর্ট স্কুলের কর্ণধার সোমেশ ঘোষকে গ্রেফতারে গড়িমসি হচ্ছে কেন সেই প্রশ্নে আন্দোলনে নামল গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। শনিবার সিপিএম প্রভাবিত ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মহিলা সমিতির নেত্রী বেবি সমাদ্দার বলেন, “ওই তরুণী বধূকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি করা হয়েছে বলে সুইসাইড নোটে রয়েছে। তা হলে কেন সেই ধারা প্রযোজ্য হয়নি। কেন পুলিশ ওই ধারা প্রয়োগ করতে দেরি করছে? কেনইবা সোমেশবাবুকে ধরা হচ্ছে না? আমরা শিলিগুড়ি জুড়ে আন্দোলনে নামব।” পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়, সোমেশবাবুকে না পেলেও তাঁর বাবা তুষারবাবুকে শনিবার সকালে পূর্ব বিবেকানন্দপল্লির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
কিন্তু, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “আমরা মূল অভিযুক্তের বাবা তুষারকান্তিবাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছি। উনি আদালত চত্বরে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।” সোমবার ফের তাঁকে আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এদিন মৃতা বধূর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের খোলা বিচারসভায় তাঁদের যাওয়ার পরামর্শ দেন। মৃতার জামাইবাবু বলেন, “আমরা ন্যায় বিচারের জন্য সেখানে যেতেই পারি। চিন্তা ভাবনা করছি।” গত ৩১ অগস্ট ওই তরুণী আত্মঘাতী হন। তিনি একটি বেসরকারি আর্ট স্কুলে কর্মরত ছিলেন। যেখানকার অধ্যক্ষ সোমেশবাবু। মৃতা তাঁর ১৩ পৃষ্ঠার ‘সুইসাইড নোট’-এ সোমেশবাবুর বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি সহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। যদিও সোমেশবাবুর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গোটা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সোমেশবাবুর আইনজীবী অখিল বিশ্বাস বলেন, “আমার মক্কেলের তরফেও অভিযোগ দায়ের করার কথা ভাবা হচ্ছে।” |