ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ফের বাস ধর্মঘটের হুমকি। আর তা শুনে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র জানিয়ে দিলেন, কালীপুজো পর্যন্ত এই নিয়ে আলোচনার অবকাশ নেই। বাসমালিকদের সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে, সরকার ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত না জানালে এ বার কোনও অবস্থাতেই ধর্মঘট তোলা হবে না।
শনিবার বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস’-র নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে দু’দিনের বাস ধর্মঘট হবে। পরের দিন (২১ তারিখ) থেকে এক দিন অন্তর জোড়-বিজোড় সংখ্যার ভিত্তিতে অর্ধেক বাস নামানো হবে। এ দিন তপনবাবু জানান, যন্ত্রাংশ ও জ্বালানির দাম বেড়েছে, বেড়েছে বিমার কিস্তির অঙ্কও। তাই লোকসানে বাস চালানো সম্ভব নয়।
বাসমালিকদের এই সিদ্ধান্ত জানার পরেই পরিবহণমন্ত্রী মহাকরণে মালিকদের উদ্দেশে বলেন, “কালীপুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।” তবে জ্বালানি তেলের লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধির জন্য মালিকদের এই দাবি যে অযৌক্তিক নয়, কার্যত তা মেনে নেন মদনবাবু। বলেন, “ডিজেলের দাম যে ভাবে বেড়েছে, তাতে ওঁদের কষ্টকর পরিস্থিতি যাচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর চাপও রয়েছে।” কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁর যে কিছু করার নেই, তা আরও এক বার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমি একা ভাড়া বাড়ানোর মালিক নই। আমার উপরে মন্ত্রিগোষ্ঠী রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন।” মদনের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী বাস মালিকদের বলেছিলেন ছোট ছোট নতুন বাস কিনতে। তাতে রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কমে। কিন্তু বাস মালিকরা তা মানতে চাননি।”
কিন্তু অতীতের মতো এ বারেও কি মন্ত্রীর ছেঁদো আশ্বাসে শেষ মুহূর্তে ধর্মঘট তুলে নেবেন বাসমালিকরা? জবাবে তপনবাবু বলেন, “এ বার আর কোনও আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতিতে ধর্মঘট তোলা হবে না। সরকার যদি ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, একমাত্র তা হলেই ধর্মঘট তোলা হবে।”
মিনিবাসের সংগঠনও ধর্মঘটে অংশ নেবে কি না, তা ঠিক করতে কাল, সোমবার আলোচনায় বসছে মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তবে অধিকাংশ মিনিবাস মালিকই ধর্মঘটের পক্ষে। |