রাজ্যে অনাহারে মৃত্যু ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে প্রতিটি জেলায় খাদ্য নিয়ামকের দফতরে রেশন বরাদ্দের অতিরিক্ত ১০০ কুইন্টাল করে চাল মজুত রাখা হবে। এমনই দাবি করে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, কোথাও কোনও ব্যক্তি বা পরিবারের অনাহারে থাকার খবর বিডিও বা অন্য যে কোনও প্রশাসনিক কর্তার কাছে এলে, সেখানে দ্রুত খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।
মন্ত্রী বলেন, “জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, অনাহারের খবর পলেই সেখানে আগে সর্বাধিক ১০ কিলো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। তার জন্য খাদ্য দফতরের আগাম অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। খাবার পৌঁছনোর কয়েক দিনের মধ্যে সরাসরি খাদ্য দফতরে ফাইল পাঠিয়ে দিলেই অনুমোদন দেওয়া হবে।”
খাদ্যমন্ত্রী জানান, ক’জনের বাড়িতে রেশন কার্ড রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বীরভূমের নলহাটি ব্লকে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা শুরু করেছে তাঁর দফতর। যদি দেখা যায়, কোনও ব্যক্তি বা পরিবারের রেশন কার্ড নেই, তখনই সেখানে রেশন কার্ড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে এপিএল, বিপিএল, অন্ত্যোদয় ও অন্নপূর্ণা যোজনার কার্ড দিতে হবে। বিপিএল বা অন্ত্যোদয় যোজনার কার্ড দেওয়ার আগে প্রতিবেশী চারটি পরিবারের কাছে সংশ্লিষ্ট পরিবারটির আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্করা অন্নপূর্ণা যোজনার কার্ড পাবেন।
এ বিষয়ে সমাজকর্মী শরদিন্দু বিশ্বাস বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রতি জেলায় জরুরি ভিত্তিতে ২০ কুইন্টাল করে চাল মজুত রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এমনকী কোনও সরকারি নোটিসও আমরা দেখতে পাইনি। তবে নতুন এই প্রস্তাবটি যদি রূপায়ণ করা যায়, তবে তা সত্যিই ভাল হবে।” সমাজকর্মী অনুরাধা তলোয়ার বলেন, “ভাল প্রস্তাব। তবে অনাহার রুখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।”
|
পুজোয় বিদ্যুৎ, বৈঠকে মন্ত্রী |
পুজোয় গোটা রাজ্যে কমপক্ষে ৮০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে। ষষ্ঠী থেকেই সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের এলাকায় এই পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে। পুজোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে বৈঠক করেন মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। ওই বৈঠকে বিদ্যুৎসচিব মলয় দে, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ রায়, বণ্টন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নারায়ণস্বরুপ নিগম ছাড়াও সিইএসসি, কোল ইন্ডিয়া, পূর্ব রেলের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যুৎ ভবন সূত্রের খবর, পুজোয় বিদ্যুতের যত চাহিদাই হোক, জোগানে ঘাটতি হবে না বলে বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থাগুলি মন্ত্রীকে জানিয়েছে। কোল ইন্ডিয়াকে সঠিক সময়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠাতে বলা হয়েছে। সরবরাহ লাইনে যান্ত্রিক ত্রুটি এড়াতে আগাম রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু করতে বলা হয়েছে। |