গড়িয়াহাট বাজারের ছাদে সৌর শক্তি প্রকল্প চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বাজারের ছাদে প্রায় দু’হাজার বর্গমিটার জায়গায় ওই প্রকল্প গড়া হবে। সেখান থেকে ২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। সেই বিদ্যুৎ বিক্রি করবে পুর-প্রশাসন।
পুরসভা সৌর শক্তি প্রকল্প গড়তে চাইছে কেন? পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, কেন্দ্র ফরমান জারি করে বলেছে, যে সব সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে ৫০০ কিলোওয়াট, সেই সব সংস্থাকে চাহিদার ১.৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সৌর শক্তি থেকে উৎপাদন করতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশের নিরিখেই পুরসভা সৌর শক্তি প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়, এস এন ব্যানার্জি রোডে পুরসভার সদর দফতরের ছাদে প্রকল্পটি হবে। বাদ সাধে পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর। এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, “দু’হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে লোহার কাঠামোর ভার ওই ভবনের উপরে না চাপানোই ভাল। তাতে ক্ষতি হতে পারে।” পরে ঠিক হয়, গড়িয়াহাট বাজারের ছাদে প্রায় চার হাজার বর্গমিটারে প্রকল্পটি হবে। |
কত টাকা লাগবে ওই প্রকল্প গড়তে? পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, ওই প্রকল্পের জন্য মোট দু’কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বলা হয়েছে, সৌর শক্তি প্রকল্পে খরচের ৩০ শতাংশ দেবে এম এন আর ই (মিনিস্ট্রি অফ নিউ অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি)। আর বাকি টাকার দায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার। পুরসভা সূত্রের খবর, পুর-তহবিল থেকে ওই প্রকল্প গড়ার মতো টাকা নেওয়া সম্ভব নয়। মেয়র পারিষদদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় তা গড়া হবে। তার জন্য সৌর শক্তি প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট খুব শীঘ্রই জেএনএনইউআরএমের কাছে পাঠানো হবে।
কাদের বিক্রি করা হবে ওই বিদ্যুৎ?
এক মেয়র পারিষদ জানান, ইতিমধ্যেই রাজভবনে ৫০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর শক্তি প্রকল্প গড়া হয়েছে। ওই বিদ্যুৎ কেনে সিইএসসি। পুরসভাও উৎপাদিত বিদ্যুৎ সিইএসসি-কে বিক্রি করবে বলে ভাবনাচিন্তা করছে। |