সংস্থা-কর্তার খরচের বহর নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এনবিএসটিসি’তে
পুরো বেতন পান না কর্মীরা
রাজ্য পরিবহণ দফতরও স্বীকার করছে, লোকসানের জেরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এনবিএসটিসি) ধুঁকছে। কর্মীরা কোনও মাসে পুরো বেতন পাচ্ছেন না। ফি মাসে বকেয়ার অঙ্ক ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তাই ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের কোচবিহারের বাংলোয় ৩ টি বাতানুকূল যন্ত্র, একাধিক এলসিডি বসানো নিয়ে কর্মী-মহলেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। এমডি-এর ঘন ঘন ট্রেনে, বিমানে কলকাতা যাতায়াত বাবদও ফি মাসে মোটা টাকা খরচ করা হচ্ছে কেন সেই প্রশ্নও কর্মীদের মধ্যে উঠেছে। সংগঠনের অভিযোগ, শুধু বাংলো দেখাশোনায় ৯ কর্মী। কংগ্রেস প্রভাবিত ইনটাকের কর্মী সংগঠন, সিটু ছাড়াও তৃণমূল মনোভাবাপন্ন কর্মীর অনেকেই ওই অভিযোগ তুলেছেন। বেশ কিছু অভিযোগ সংস্থার চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও শুনেছেন। মন্ত্রী বলেন, “আমি বিশদে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করব।”
এনবিএসটিসি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়দেব ঠাকুর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, “সংস্থার স্বার্থে বেশ কিছু ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করেছি। যাঁদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তাঁদের কেউ কেউ অপপ্রচার করছেন। নতুন করে কোনও সামগ্রী আমার বাংলোয় লাগানো হয়নি।” যেখানে চেয়ারম্যান ব্যয়সঙ্কোচে জোর দিয়েছেন, সেখানে খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সংস্থার অন্দরে যে ক্ষোভ বেড়েছে তা স্বীকার করেছেন পরিচালন সমিতির সদস্যদের অনেকেই। এনবিএসটিসি সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত মার্চে এনবিএসটিসির এমডি হিসাবে দায়িত্ব নেন জয়দেববাবু। অভিযোগ ফি মাসে কলকাতা যাতায়াত তাঁর রুটিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকবার একই দিনে দুটি ট্রেনের টিকিট কাটিয়ে রাখার ঘটনাও রয়েছে বলে সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ। ক্ষুব্ধ কর্মীরা জানান, সাধারণত, শুক্রবার এমডি কলকাতা চলে যান। ফের সোমবার ফেরেন। যে সময়ে মহাকরণ বন্ধ থাকে, সেই সময়ে বারেবারেই কলকাতা যাওয়া কেন সেই প্রশ্নও উঠেছে। এমডি বলেন, “অডিটের জন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের খোঁজ করা, সংস্থার মামলার ব্যাপারে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে হয়। প্রয়োজনে বোর্ড মিটিংয়ে কাজের খতিয়ান দেব।”
ইনটাক অনুমোদিত এনবিএসটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কোচবিহার শাখার সম্পাদক সুজিত সরকার বলেন, “এমডির ঘনঘন কলকাতা যাতায়াতের ফল কর্মীরা পাচ্ছেন না। অবসরপ্রাপ্তদের লিভ স্যালারি গ্র্যাচুইটির হিসাব চূড়ান্ত করা, বিকল্প আয় বাড়ানোর কাজ হচ্ছে না। এক বছর ধরে তিন হাজার কর্মী ৬৯ শতাংশ বেতন পেলেও এমডি সহ কিছু অফিসার পুরো বেতন নিচ্ছেন।” নিগমের ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহমানও বলেন, “রাজ্য সরকার সর্বক্ষণের এমডি-র দাবি পূরণ করতে ওঁকে দায়িত্ব দিয়েছে। উনি ঠিকমতো অফিস না করায় সমস্যা হচ্ছে। সবই রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।” সিটুর এনবিএসটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত জানান, ১০ সেপ্টেম্বর বৈঠকে আর্থিক অপচয় সহ সামগ্রিক বিষয় আলোচনা হবে।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.