পাখা চালু করতেই একজাতীয় কাঁটা-গুল্ম গাছের ফলের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ল তিন শিক্ষক-সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রী। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মাড়গ্রাম থানার প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ দিনের মতো ক্লাস ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কয়েক জন স্কুলেই সুস্থ হয়ে গেলেও ৩০ জনকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক আনন্দ মণ্ডল বলেন, “প্রত্যেকের শরীরের চামড়া বিষক্রিয়ায় কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।” আপাতত আক্রান্তরা স্থিতিশীল অবস্থায় বলে জানান চিকিৎসক। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০.৫৫ মিনিটে প্রথম ক্লাসের ঘণ্টা পড়ার পর সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাসে শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে যান। শ্রেণিকক্ষগুলিতে থাকা পাখা চালু করতেই একজাতীয় কাঁটা-গুল্ম গাছের ফলের অংশ হাওয়ায় উড়তে থাকে। ছাত্রী ও শিক্ষকদের গায়ে পড়তেই জ্বালা করতে থাকে। তিনটি ক্লাসের ছাত্রীদের কান্নাকাটি ও চিৎকারে স্কুলে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রী এবং সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে স্কুলে ঢুকে পড়েন অভিভাবকেরাও। শিক্ষকদের একাংশ ততক্ষণে আক্রান্ত ছাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম মণ্ডল বলেন, “কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। স্কুলে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার পরে ক্লাস চালু রাখা মুশকিল ছিল।” স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক মণিরুল হাসান বলেন, “প্রধান শিক্ষককে বলেছি যারা এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে।”
|
শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট লেখাও হয়ে যায়। চার ঘণ্টা পরে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলাকালীন কেঁদে উঠল সে। শুক্রবার, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার এক নার্সিংহোমে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার,নার্সিংহোমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা রিঙ্কু ভকত (২৪)। পরিবারকে জানানো হয়, শিশুটি মারা গিয়েছে। শিশুটির জ্যাঠা রাজকুমার ভকত বলেন, “চার ঘণ্টা পরে এসে ডেথ সার্টিফিকেট-সহ শিশুটিকে নিয়ে যেতে বলা হয়।” পরিজনেরা পুলিশকে জানান, বিছানা থেকে তোলার সময়েই সে কেঁদে ওঠে। এর পরেই বিক্ষোভ দেখান আত্মীয়েরা। চিকিৎসকদের মারধরের চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। গাফিলতি মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ওই শিশুর চিকিৎসক নিতু সিংহ বলেন, “জন্মের পরে শিশুটির অবস্থা খুব খারাপ ছিল। নার্সিংহোম থেকে আমাকে জানানো হয়, শিশুটি মারা গিয়েছে। আমারও ভুল হয়েছে, পরীক্ষা না করেই ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দিই।” ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
|
২৮তম জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ উপলক্ষে শুক্রবার মেদিনীপুরে এক পদযাত্রা বেরোয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। এই পক্ষ উদ্যাপন চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। |