নিম্নচাপের পর নিম্নচাপ আর ঘূর্ণাবর্ত তো ছিলই। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি অক্ষরেখা ফের কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। তৈরি হয়েছে বৃষ্টি নামার পরিস্থিতি। শুক্রবার কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যত্র বৃষ্টি হয়েছে তারই জেরে। আজ, শনিবারেও বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরে এক ঘণ্টায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া দফতর। কম সময়ে অতি বর্ষণের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। যানজটে নাজেহাল হয়ে যায় মহানগর। কম সময়ে এত বৃষ্টি কেন? আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নিম্নচাপ অক্ষরেখাটির জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তৈরি হয়েছে বজ্রগর্ভ মেঘ। সেই মেঘপুঞ্জ টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার আকাশে। খুব কম সময়ের ব্যবধানে সেই মেঘ ভেঙেছে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায়। নিম্নচাপ অক্ষরেখাটির প্রভাবে শনিবারেও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টি হবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। কিন্তু এ দিনই উপগ্রহ-চিত্রে অন্ধ্র উপকূলের কাছে বায়ুপ্রবাহে পরিবর্তন ধরা পড়েছে। সেখানে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় দিল্লির মৌসম ভবন।
|
পশ্চিমবঙ্গে কুসংস্কার বিরোধী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার কথা উঠল মহারাষ্ট্রের কুসংস্কার বিরোধী আন্দোলনের নেতা নরেন্দ্র দাভোলকরের হত্যার প্রতিবাদ-সভায়। দাভোলকর ২০ অগস্ট পুনেতে নিহত হন। প্রতিবাদে শুক্রবার যাদবপুরে জাতীয় শিক্ষা পরিষদে ‘র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভায় প্রত্যেকে বলেন দাভোলকরের মতো নির্ভীক কুসংস্কার বিরোধী সৈনিক পশ্চিমবঙ্গেও দরকার। এ দিন কলেজ স্ট্রিটেও ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’, ‘উৎস মানুষ’, ‘নেহাই সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ প্রভৃতি সংগঠন দাভোলকর হত্যার প্রতিবাদে সভা করে।
|
রাজ্যে বেড়ে চলা ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। জলপাইগুড়ির মরাঘাট চা-বাগানের এক কর্মীর মেয়েকে ২৭ অগস্ট পরিত্যক্ত কারখানা চত্বরে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মেয়েটি হাসপাতালে। কিন্তু পুলিশ ওই গণধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে তৎপর হয়নি বলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সূর্যবাবু।
|
সরকারি তরফের বক্তব্য জানানোর জন্য বিধানসভার স্থায়ী কমিটির পর্যালোচনা বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবদের বাধ্যতামূলক ভাবে থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। বৈঠকে অনেক দফতরের সচিবেরা না-এসে তাঁদের অধস্তন আধিকারিকদের পাঠান বলে বিধানসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানায় কিছু স্থায়ী কমিটি। ফলে সরকারি কাজে ক্ষতি হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ মুখ্যসচিবকে জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রেক্ষিতে সচিবদের বাধ্যতামূলক ভাবে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের কথা বিধানসভার সচিবালয়কে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। |