ভূগর্ভ থেকে জল তুলে জলাধার পরিশ্রুত করার পর নলবাহিত পানীয় জল খড়গ্রাম এলাকায় সরবরাহ করা হয়। ব্যবস্থাটি বেশ অনেক বছর আগে থেকে চালু রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্য খড়গ্রামে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ওই জলাধার থেকে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা সম্প্রতি ভেঙে পড়েছে। জল সরবরাহের প্রাচীন ওই ব্যবস্থাটি সংস্কার করে বছর খানেক আগে নতুন ভাবে চালু করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে জল সরবরাহের ওই ব্যবস্থাটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ওই এলাকায় বর্তমানে ১০০ কেভির ট্রান্সফর্মার থাকলেও লো-ভোল্টেজ নিত্য সঙ্গী। পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে অনেকেই বাধ্য হয়ে অপরিশ্রুত পানীয় জল ব্যবহার করছেন। ফলে জলবাহিত রোগে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। দ্রুত উপযুক্ত ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বসিয়ে খড়গ্রাম এলাকায় পানীয় জলের সুষ্ঠু সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই।
সুব্রত পাল, খড়গ্রাম
|
বর্তমানে কৃষ্ণনগর শহরের সব থেকে বড় সমস্যা যানজট। তীব্র যানজটের কারণ মূলত তিনটি। প্রথমত, অগুনতি অবৈধ ভ্যানরিকশার দাপট। বেপরোয়া চালকরা স্টেশনের কাছে যাত্রী তোলার জন্য রাস্তা জুড়ে ভ্যানরিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে যানজট তৈরি করে। দ্বিতীয়ত, অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা জুড়ে চার ফুট চওড়া কংক্রিটের ‘ডিভাইডার’ নির্মাণ। নিমতলা রেলগেট থেকে শ্রীচৈতন্যের মূর্তি পর্যন্ত চার ফুট চওড়া কংক্রিটের ডিভাইডার থাকায় রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তৃতীয়ত, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ত্রিকোন পার্ক নির্মাণ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মণীষীদের মূর্তি গড়ে পাদদেশে বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে ত্রিকোন পার্ক তৈরি করা হয়েছে। তার ফলে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। মণীষীদের মূর্তিগুলি অক্ষত রেখে ত্রিকোন পার্কগুলি ভেঙে দিলে যানজট বেশ
খানিকটা কমে।
বিকাশ দাস, কৃষ্ণনগর
|
রঘুনাথগঞ্জ শহরে একটি মাত্র সব্জি ও মাছের বাজার রয়েছে। বাজারটি খুব প্রাচীন ও আয়তনে বড়। কিন্তু সেই বাজারের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। ইটপাতা যে রাস্তা দিয়ে বাজারে ঢুকতে হয় তার অনেকটা জায়গা জুড়ে সব্জি বিক্রেতারা বসে থাকায় এগোতে গেলে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগে। মাছের বাজারের অবস্থা আরও শোচনীয়। স্বল্প পরিসরের ইট বাঁধানো রাস্তার ধারে সিমেন্ট বাঁধানো ঢিবির উপর ছড়ানো থাকে মাছ। ওই ঢিবি থেকে মাছের জল গড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। তার ফলে ইটপাতা রাস্তায় প্যাচপ্যাচে কাদা হয়। কর্দমাক্ত ওই পিচ্ছিল রাস্তায় বয়স্ক মানুষেরা অনেক সময় ভারসাম্য না রাখতে পেরে পড়ে যান। বর্ষাকালে ওই বাজারের দশা আরও বিপজ্জনক আকার নেয়। জঙ্গিপুর মহকুমাশহর রঘুনাথগঞ্জের প্রাচীন ওই বাজারটি সংস্কার করার দাবি দীর্ঘ দিনের। বাজারটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য পুরসভার দৃষ্টি
আকর্ষণ করছি।
শান্তনু রায়, রঘুনাথগঞ্জ
|
ভাগীরথী নদীর দু’ পাড়ের যমজ শহরআজিমগঞ্জ ও জিয়াগঞ্জ। জিয়াগঞ্জে সব সংয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আজিমগঞ্জে হামেশাই লোডশেডিং হয়। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে, বৃষ্টি হলে, বা মেঘের ডাক শোনা গেলেই নদীর পশ্চিম পাড়ের আজিমগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে নদীর দু’ পাড়ের দু’টি শহরের মধ্যে এ হেন দু’ ধরনের ব্যবহার কেন?
অতনু সরকার, আজিমগঞ্জ
|
আমরা নবদ্বীপ রেল কোয়ার্টারে বাস করি। সেই রেল কোয়ার্টারের চারপাশ জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। ঝোপঝাড় থাকায় সেখানে নিয়মিত অসামাজিক কাজ হয়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। নিকাশিনালাও সাফাই করা হয় না। ফলে নোংরা জল রাস্তায় উপছে পড়ে। আমরা আবাসিকরা রেলের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। উল্টে তাঁরাই আমাদেরকে জঙ্গল কাটতে ও নিকাশিনালা সাফ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ ডি আর এম-কেও গত ১৫ জুলাই লিখিত আবেদন করেছি। এই বিষয়ে রেলের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী মহাশয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই চিঠি লেখা।
ছোটকা দে, নবদ্বীপ ধাম |