উড়ালপুলের পাশেই জঞ্জালভর্তি ভ্যাটে খাবারের সন্ধানে ইঁদুরদের নিত্য যাতায়াত। তার ফলে দিনের পর দিন একটু একটু করে আলগা হচ্ছে বন্ডেল রোড উড়ালপুলের থামের মাটি। ভবিষ্যতে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা করছেন পূর্ত দফতরের বাস্তুকারেরা। |
এই সেই ভ্যাট। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
বৃষ্টির জল বেরনোর জন্য রাখা গর্ত (পরিভাষায় ‘হুইপ হোল’) দিয়েই ঢুকছে ইঁদুর। ফুটোগুলি বন্ধ করলে উড়ালপুলের নিকাশি ঠিকমতো হবে না। তখন আবার অন্য বিপদ। তাই সঙ্কটে পড়েছেন যাদবপুর রেলওয়ে উড়ালপুল ডিভিশনের বাস্তুকারেরা। আপাতত ইটের টুকরো আর ধাতুর জাল লাগিয়ে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিলেও তাঁদের আশঙ্কা, বেশি দিন এই উপায়ে ইঁদুর রোখা যাবে না। একটু বৃষ্টি হলেই আলগা হয়ে যায় ইটের টুকরো আর জাল। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে ইঁদুরের সমস্যায় সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের বিভিন্ন অংশ বসেও গিয়েছিল। সম্প্রতি অবশ্য সে সব মেরামত করা হয়েছে। |
পূর্ত দফতরের বাস্তুকারদের অভিযোগ, উড়ালপুল-সংলগ্ন এলাকায় একটি খোলা ভ্যাট রয়েছে। তার আবর্জনা দীর্ঘ দিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না। তা থেকেই সংলগ্ন এলাকায় ইঁদুর বাড়ছে। পূর্ত দফতরের ২৪ পরগনা হাইওয়ে ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিনয় মজুমদার বলেন, “পুরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানিয়েছি।” যদিও কলকাতা পুরসভার সাত নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলেন, “আমি এই ধরনের কোনও খবর পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” অন্য দিকে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের জাভেদ রাফাতের আশ্বাস, “ওই ভ্যাট পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো হবে।” |