ক্লাস নেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক অশালীন আচরণ করেন অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ ১৮ জন ছাত্রী। ঘটনাটি কোচবিহারের জামালদহ তুলসী দেবী হাই স্কুলের। স্কুল সূত্রের খবর, যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বিমল বর্মন তৃণমূল শিক্ষা সেলের সঙ্গে জড়িত এবং মাথাভাঙা কলেজের অভিভাবক সমিতির চেয়ারম্যান। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ১৮ জন ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করে। স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে ওই শিক্ষককে শোকজ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। গত ৩১ অগস্ট অভিযোগ হওয়া পর বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষককে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র দাস জানান, শোকজের পাশাপাশি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কাল, শনিবারের মধ্যে তদন্ত রির্পোট দেবেন সদস্যরা। অভিযোগের বিষয় জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়। স্কুল পরিচালন কমিটি সম্পাদক মজিরুদ্দিন মিঁয়া বলেন, “তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত শিক্ষক ওই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, ছাত্রীরা যে অভিযোগ করেছেন তাঁর সঙ্গে তিনি একমত নন। কেন ছাত্রীরা ওই অভিযোগ করেছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। এই দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল বাড়িতে রেখে বেরিয়েছেন বলে জানানো হয়। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির জেলার সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, “ওই শিক্ষক আমাদের সংগঠনের সদস্যপদ সংগ্রহ করেননি। তিনি মূল দলের সঙ্গে যুক্ত কি না তা নেতারা বলতে পারবেন। তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে।” তুলসী দেবী হাই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, ক্লাস নেওয়ার সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীদের প্রায়ই কাছে ডেকে নিয়ে গিয়ে শরীরে হাত দিয়ে কথা বলতেন। অভব্য আচরণ করতেন। ছাত্রীদের হিন্দি সিনেমার গান গাইতে বাধ্য করাতেন। কেঊ তাঁর কথা না শুনতে চাইলে তাঁকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতেন। ক্লাসের মধ্যেই সিগারেটও খেতেন। |