বছরে একশো দিন কাজ করে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবে যে পরিবার, তার এক জন সদস্যকে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আলাদা করে প্রশিক্ষণ ও তার পর তার কাজের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এই স্টার (স্ট্যান্ডার্ড ট্রেনিং অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রিওয়ার্ড) নামে এই প্রকল্পটির সূচনা করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন জাতীয় প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এস রামোদরাই। অনুষ্ঠানে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, চালু হওয়ার প্রথম বছরে এই প্রকল্প থেকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। যারা এই প্রকল্পের আওতায় আসার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তাদের শংসাপত্র দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের খরচ মেটানোর জন্য তারা সরকার থেকে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। এই প্রকল্পে সারা দেশে প্রায় ৩৬ থেকে ৪৫ লক্ষ গ্রামীণ তরুণ তরুণী চাকরির সুযোগ পাবেন। |
শ্রমনির্ভর কাজ থেকে গ্রামীণ তরুণ তরুণীদের দক্ষতা নির্ভর কাজে উৎসাহিত করতেই এই প্রকল্প।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০ সালে বেকারির হার ৮ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২ সালের মধ্যে ৫০ কোটি গ্রামীণ জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৫ কোটি মানুষকে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আওতায় থাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও ৩৫ কোটি মানুষকে ১৮টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” তাঁর কথায়, “চাকরি তৈরি করা দরকারি। কিন্তু চাকরির জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। তাই এই উদ্যোগ।”
রাজ্যের একশো দিনের কাজ প্রকল্পের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বলেন, “২০১২-১৩ আর্থিক বছরে রাজ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ পরিবার ১০০ দিন কাজ করেছে। ধরা যেতে পারে, প্রায় দু’লক্ষ তরুণ তরুণী এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ পাবেন। তবে এখনও তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা আমাদের দফতরে এসে পৌঁছয়নি। তবে দ্রুত এই প্রকল্প রাজ্যে কার্যকরী করা হবে।” |