টেলিফোন বিলের টাকা জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হয়রানির অভিযোগ তুললেন বাসন্তী ব্লকের বিএসএনএল গ্রাহকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ফোনে ফোনের বিল জমা দিতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, আগের মাসের বিলের টাকা জমা দেওয়া সত্ত্বেও পরের মাসের বিলের সঙ্গে ফের সেই বিল পাঠাচ্ছে বিএসএনএল। এদিকে, বাসন্তী টেলিফোন এক্সচেঞ্জে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। পোস্ট অফিসে টাকা জমা দিতে যেতে হয় তাঁদের। কিন্তু প্রতি মাসের বিলের সঙ্গে পরের মাসের বিল জুড়ে আসার পর তা সংশোধন করতে প্রতি মাসে ক্যানিং টেলিফোন এক্সচেঞ্জে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বাসন্তীর সালাউদ্দিন শেখ, রশিদ মোল্লারা বলেন, “সব জায়গায় যেখানে গ্রাহক পরিষেবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা যাচ্ছে, বাসন্তীর গ্রাহকেরা সেখানে বারবার বিলের টাকা জমা দিতে গিয়ে হয়রান হচ্ছেন।” তাঁদের ক্ষোভ, বেশিরভাগ জায়গাতেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ সুন্দরবন, বাসন্তীতে পুরনো উপায়েই বিল জমা নেওয়া হচ্ছে।” তাঁদের কথায়, “এ ভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে মানুষ বিএসএনএল ল্যান্ড লাইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।” বাসন্তী ল্যান্ডলাইন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রভুদাস হালদারেরও অভিযোগ, “বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে হয়রান হচ্ছেন গ্রাহকেরা।” ক্যানিংয়ের বিএসএনএলের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত গুপ্ত বলেন, “সব এক্সচেঞ্জে তো ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিল জমা নেওয়া সম্ভব নয়। গ্রাহকেরা যদি বিল জমা দেওয়ার শেষ দিনের এক সপ্তাহ আগেই টাকা মিটিয়ে দেন, তাহলে সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। তা ছাড়া পোস্ট অফিসের সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করা হবে।” |