রাস্তা সারাচ্ছে না রেল, খড়্গপুরে ক্ষোভ
পিচের আস্তরণ উঠে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সেই খন্দপথেই হেলেদুলে চলেছে বাস, অটো, লরি। রেলশহর খড়্গপুরের প্রধান ও সবচেয়ে ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তাটি যেন সাক্ষাৎ নরক। দিনের পর দিন রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সকলে। রাস্তাটি ইন্দা থেকে বাসস্ট্যান্ড, গোলবাজার হয়ে মিশেছে বড়বাতির কাছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। জনতা মার্কেট থেকে বাসস্ট্যান্ড হয়ে ট্রাফিক হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সবচেয়ে খারাপ। অথচ এখানেই রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিস, মহকুমাশাসকের কার্যালয়, খাদ্য দফতরের কার্যালয়, রেল পুলিশ সুপারের অফিস। এ ছাড়াও বাসস্ট্যান্ড ও জনপ্রিয় গোলবাজার যাওয়ার মূল সড়কপথ এটাই। তাই নিরুপায় হয়ে এই পথেই বড় বড় খন্দ পেরিয়ে হেলে-দুলে চলছে যানবাহন। কখনও আবার সেই খন্দপথ এড়াতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
রেলশহরে বেহাল পথ।—নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু নির্বিকার রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বে থাকা রেল কর্তৃপক্ষ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাস্তার হাল ক্রমশ খারাপ হতে থাকলেও টনক নড়েনি রেলের। এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। পুরসভা ওই রাস্তার কিছুটা সংস্কার করলেও রেলের অংশটুকু এখনও বেহাল। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভয়াবহ হয়ে যায়। এর জেরে নিত্য ভোগান্তিতে পড়েন বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা। রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির তরফে মাস চারেক আগে ডিআরএমকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলেও কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজা রায়ের অভিযোগ, “শহরের প্রাণকেন্দ্র গোলবাজার যাওয়ার মূল সড়ক এটাই। কিন্তু রেলের উদাসীনতায় আমরা বহুবার বলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের স্বার্থে ও শহরের ব্যবসার স্বার্থে এই রাস্তা ও বাসস্ট্যান্ড আশু সংস্কার করা প্রয়োজন।”
এ দিকে সামনেই পুজো। তাতে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। ওই রাস্তা এড়াতে অনেকেই স্টেশন সংলগ্ন মালগুদামের ঘুরপথ ব্যবহার করছেন। সুভাষপল্লির মণীশ চক্রবর্তী, সুবীর দে-এর কথায়, এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার এই দশা কী ভাবে হল এটা রেলের ভাবা উচিৎ। তাঁদের দাবি, পুজোর আগে যে ভাবেই হোক রাস্তা সংস্কার করতে হবে। রাস্তাটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদেরও। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখরের বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
যদিও পুজোর আগে রাস্তা মেরামতি নিয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। খড়্গপুর রেলের এডিআরএম পি কে মণ্ডল জানান, “ওই রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। বৃষ্টি কমলে পুজোর পরেই কাজ শুরু হবে।”
হয় কি-না সেটাই দেখার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.