|
|
|
|
খাসজঙ্গল শিল্পতালুক সম্প্রসারণ |
ক্ষুদ্রশিল্প নিগমকে জমিদানের তোড়জোড় শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খাসজঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার সম্প্রসারণের প্রস্তুতি শুরু হল। তবে তার জন্য সময় লাগল প্রায় ১২ বছর!
দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প উন্নয়ন নিগমকে জমি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ইতিমধ্যেই ২২.৯১ একর জমি চিহ্নিত করে ফেলেছে। সেই জমি নিগমকে দীর্ঘ মেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে অনুমতিও চেয়েছে। অনুমতি পেলেই দীর্ঘ মেয়াদি বন্দোবস্ত হয়ে যাবে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “আমরা জমি চিহ্নিত করে যাবতীয় প্রক্রিয়া মিটিয়ে রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনুমতি পেলেই জমি হস্তান্তর হয়ে যাবে।” |
|
এই জমিতেই তৈরি হবে শিল্প। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর শহর ঘেঁষা খাসজঙ্গল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি জমি পড়েছিল। জায়গাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভাল। প্রধান সড়ক একেবারে সামনে। ২০০০ সাল থেকে ওই জমি উদ্যোগপতিদের দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথম দফায় ১৪ একর জমি ও ৪৪ জন উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়। শুরু হয় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। জমি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, রাস্তা নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জলের ব্যবস্থা ধাপে ধাপে সব হয়। বর্তমানে এখানে মশারি তৈরি, আটা তৈরি-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ হচ্ছে। অনেকে সফলও হয়েছেন। এ থেকেই পরিষ্কার এলাকায় শিল্পের ভবিষ্যৎ রয়েছে। তারপরেও শহর ঘেঁষা এলাকায় অব্যবহৃত জমি পড়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে উদ্যোগপতিরা জমি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। প্রথম ধাপে যেখানে গ্রোথ সেন্টার তৈরি হয়েছিল, তার পাশেই পড়ে থাকা জমি ফের উদ্যোগপতিদের দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু কারা জমি দেবে? প্রশাসন সরাসরি এই কাজ করবে না। জমি দিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য ক্ষুদ্রশিল্প উন্নয়ন নিগমের হাতে। নিগম পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করবে। তারপর তারাই উদ্যোগপতিদের জমি দেবে। কিছুদিন আগে নিগমের প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। জমি দেখে তাঁরা খুশি। এই এলাকায় যে শিল্পের ভবিষ্যৎ রয়েছে, সে কথা তাঁরাও জানিয়ে গিয়েছেন। তবে গোটা প্রক্রিয়া রূপায়িত করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেল। ২০০১ সালে যেখানে প্রথম ধাপের কাজ হয়েছিল, সেখানেই দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হতে ২০১৩ সাল হয়ে গেল! অভিযোগ, প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই এতদিন এই জমিতে শিল্প গড়ার কাজ এগোয়নি। এমন নয় যে, উদ্যোগপতির অভাব রয়েছে। জমি পেলে অনেকেই নানা ধরনের কারখানা করতে চান। বিশেষত, প্রথম ধাপে যেহেতু কয়েকজন উদ্যোগপতি সফলও হয়েছেন তাই বেকার যুবক-যুবতীরা জমি পেতে মুখিয়ে রয়েছেন।
এ বার সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির দীর্ঘ মেয়াদি বন্দোবস্ত হয়ে গেলেই নিগম পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে ফেলবে। তারপরই যাঁরা জমি চেয়ে আবেদন জানাবেন, তাঁদের হাতে জমি তুলে দেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|