যান নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য দেড় বছরেরও বেশি আগে হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে প্রায় আট লক্ষ টাকায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই ব্যবস্থা চালু হল না। পড়ে থেকে যন্ত্রপাতি ও আলো নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জেলা পুলিশ হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভাকেই দায়ী করেছে। কেননা, ওই ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে পুরসভার উদ্যোগেই। কিন্তু এখনও ওই ব্যবস্থা তাদের কাছে হস্তান্তর না-হওয়ায় তা চালু করা যাচ্ছে না বলে পুলিশের দাবি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘পুরসভা রাজ্য পরিবহণ দফতরের সহযোগিতায় সিগন্যাল ব্যবস্থা তৈরি করেছে। পুরসভা যতদিন পর্যন্ত তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর না করছে, ততদিন চালু করা যাচ্ছে না।”
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য পরিবহণ দফতর একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে পুরসভার মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা তৈরি করেছে। হস্তান্তরের জন্য পরিবহণ দফতর, নির্মাণকারী সংস্থা, পুরসভা এবং জেলা পুলিশ সকলের উপস্থিতি প্রয়োজন। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। চেষ্টা হচ্ছে শীঘ্রই সকলের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে সিগন্যাল ব্যবস্থা হস্তান্তর করার।” |
| জি টি রোডের উপর চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। ওই মোড়ের গোলপার্কের চার দিকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে। একটি গিয়েছে চুঁচুড়া স্টেশনের দিকে। উল্টো দিকের রাস্তাটি চুঁচুড়া সদরের দিকে। এ ছাড়া, জি টি রোডের এক দিক চন্দননগর যাওয়ার জন্য এবং অন্য দিক দিয়ে পৌঁছনো যায় বর্ধমান। চারটি রাস্তার মুখেই বসানো হয় সিগন্যাল স্তম্ভ। গোলপার্কে রয়েছে যান নিয়ন্ত্রণ করার সিগন্যাল ব্যবস্থা। এক বছর ধরে পড়ে থাকার ফলে সেটির অবস্থাও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে অভিমত স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ কারণ ছাড়া ওই মোড়ে সাধারণত ট্রাফিক পুলিশও দেখা যায় না। গোলপার্কের কয়েক হাতের মধ্যেই ডিএসপি (ট্রাফিক)-র অফিস। পুলিশের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে যানবাহন চলার জন্যই মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অবিলম্বে সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর দাবি তাঁদের। কিন্তু ওই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ কেন মোতায়েন করা হয় না? এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি ডিএসপি (ট্র্যাফিক) সুভাষ রক্ষিত। |
