|
|
|
|
পরদায় ফিরছেন |
সুচিত্রা সেন-এর কেরিয়ার অবলম্বনে ছবি। মুখ্য চরিত্রে দেখা যেতে পারে রাইমাকে। খবর দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
এ যেন পাতালঘর থেকে আবার ফিরে আসা!
শেষবার তাঁকে পরদায় দেখা গিয়েছিল ১৯৭৮-য়ে। ছবির নাম ‘প্রণয় পাশা’। আবার তিনি পরদায় ফিরছেন। টলিউডের পরদায় তাঁর ফিল্মজীবনের আদলে বানানো হচ্ছে একটি সিনেমা। পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী। যাঁর ঝুলিতে বিজ্ঞাপন জগতের খ্যাতি ছাড়াও রয়েছে ‘পাতালঘর’য়ের মতো একটি ছবি পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা।
তবে চমক এখানেই শেষ নয়। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমার সঙ্গেও কথা হয়েছে।
রাইমা আপাতত সিঙ্গাপুরে। কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার আগে বলেন, “হ্যাঁ, আমি প্রযোজক উজ্জ্বল সিংহের সঙ্গে দেখা করেছি। মা ওয়াজ অলসো ভেরি মাচ আ পার্ট অব দ্য ডিসকাশন। ছবির আইডিয়াটা বেশ সুন্দর। তবে স্ক্রিপ্টটা না-শুনে আমি এখনই হ্যাঁ করতে পারছি না। কারণ স্ক্রিপ্টটা এই ছবির সব থেকে বড় ব্যাপার। ফিকশনাল আর নন-ফিকশনাল মিলিয়ে ছবিটি তৈরি হবে। কেউ আগে এই ধরনের ছবি এখানে বানায়নি। যদি সব ঠিকমতো হয়, তাহলে এটা ঐতিহাসিক একটা সিনেমা হতে পারে।”
সিনেমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে অভিজিৎ এখনই কথা বলতে নারাজ। “আমার ছবিটি হল বাংলা সিনেমা জগতের এক সুপারস্টারকে নিয়ে। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ফিল্মটা সুচিত্রা সেনের কেরিয়ারের ভিত্তিতে করতে চাই। কিন্তু এখনও কী স্ট্র্যাকচার হবে সেটা ঠিক হয়নি। স্ক্রিপ্ট শেষ হলে আমি রাইমার সঙ্গে দেখা করব,” বলছেন পরিচালক। |
|
ছবিটা যদি করি তা হলে নিশ্চয়ই দিম্মাকে জানাব রাইমা সেন
|
উজ্জ্বল এর আগে ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ প্রযোজনা করেছেন। বলছেন, “আমি এর আগে ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ প্রোডিউস করেছি মানে, আরও পাঁচখানা ভূতের ছবি করব না। সঞ্জয় অগ্রবাল আর আমি মিলে যে সিনেমাটা বানাতে চাইছি তা একজন চূড়ান্ত সফল নায়িকাকে নিয়ে। অভিজিৎ, আমি আর দু’জন বন্ধু মিলে একটা কোম্পানি শুরু করেছিলাম যেখান থেকে ‘পাতালঘর’ প্রযোজনা করা হয়েছিল। আজও বলা হয় যে ‘পাতালঘর’ টলিউডে সব থেকে দেখতে সুন্দর ছবি। এক সুপারস্টারকে নিয়ে সিনেমা বানালে ছবিটি দেখতে খুব সুন্দর হতেই হবে। ঠিক একটা পঁচিশ বছরের পুরনো বেনারসি যেমন সুন্দর দেখতে লাগে, এই ফিল্মটাও সে রকম দেখতে লাগতে হবে। আমি জানি অভিজিৎ এই ছবিটা বানালে তা দেখতে দারুণ হবে।”
সিনেমার নাম এখনও ঠিক হয়নি। চিত্রগ্রাহক বা সুরকার ঠিক হতে আর মাসখানেক লাগবে। তবে এটুকু ঠিক হয়েছে যে রমা বা সুচিত্রা এই রকম কোনও নামই ব্যবহার করা হবে না। তা না হোক। তবে এটা কি থাকবে যে সেই তারকা কী ভাবে সিনেমা ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় অন্তরালে চলে গিয়েছেন? “হ্যাঁ, সেটা থাকবেই। কারণ সুচিত্রা সেনের ফিল্ম কেরিয়ার সম্পর্কে
বলতে গেলে এটা উঠে আসাটা তো স্বাভাবিক। তাই ওই পোর্শনটা রাখছি,” জানাচ্ছেন অভিজিৎ।
উজ্জ্বল আরও জানান, “মূল গল্পটা হবে কী ভাবে এক সাধারণ মেয়ে অনন্যা হয়ে ওঠেন। সাঙ্ঘাতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে শীর্ষে পৌছন। আর তারপর সেই সাফল্যকে চূড়ান্ত মনে না করে একদম নির্লিপ্ত হয়ে যান। কোনও ঔদ্ধত্য থেকে নয়। জীবন দর্শন মাথায় রেখেই আড়ালে চলে যান। হয়ে যান ভারতের গ্রেটা গার্বো।”
আর উত্তম কুমার? তিনি থাকবেন না ছবিতে? “ছবিতে ষাট আর সত্তরের দশক ধরার চেষ্টা করব। ছবির নায়িকা আড়াই দশক ধরে সিনেমা করেন। বিভিন্ন নায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন,” বলছেন প্রযোজক।
তবে রাইমা উৎসাহ দেখালেও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। স্ক্রিপ্টটা ঠিক কী ভাবে লেখা হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে সব কিছু। তবে এমন একটা সিনেমা করার যে প্রস্তাব এসেছে সেটা কি তাঁর দিদিমা জানেন? রাইমা এর উত্তরে জানাচ্ছেন, “দিম্মা এর সঙ্গে জড়িয়ে নেই। মনে হয় না শুনলেও এ বিষয়ে কিছু বলবেন। কারণ এটা সিনেমা মাত্র, হুবহু ওঁর জীবনকে নিয়ে তো নয়! তবে ফিল্মটা যদি আমি করি তা হলে নিশ্চয়ই দিম্মাকে জানাব।” |
|
|
|
|
|