কলকাতার জনপ্রিয় নাট্যমঞ্চ অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর নাট্যমঞ্চে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই দর্শক সমাগম হয় কোনও না কোনও নাটকাভিনয় দেখতে। প্রায় দিনই প্রেক্ষাগৃহ মানুষে দর্শকপূর্ণ থাকে।
কিন্তু অ্যাকাডেমি হলটির অবস্থা খুবই খারাপ। সিট ভাঙা, আসনের কুশন ছেঁড়া, সিট নম্বর পড়া যায় না, আসনের সারিবাচক এ বি সি ডি লেখাগুলি উধাও, সাইড লাইনের নীচে আলো জ্বলে না। তবুও দর্শক নাটকের টানে যান।
প্রেক্ষাগৃহে মাত্র একটি ছোট দরজা। নাটক শেষে দর্শকরা বার হতে মিনিট কুড়ি সময় লেগে যায়। হলের এই অব্যবস্থায় যদি কোনও দিন আগুন লাগে তা হলে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। অ্যাকাডেমিতে ফায়ার একজিট কোথায়? এত চালু হলটির সংস্কার করা হচ্ছে না কেন? কেন এত মানুষের জীবন বিপন্ন করা হচ্ছে? অ্যাকাডেমির কর্মীরা প্রায়ই ধর্মঘট করেন কিন্তু দর্শকদের নিরাপত্তা নিয়ে নয়।
স্বপনকুমার গোস্বামী। কলকাতা-২৭
|
মৈত্রীশ ঘটক ও অমিতাভ গুপ্ত (‘সরকার বনাম বাজারের চেনা তর্কে যে উত্তর নেই’, ১৩-৮) শিক্ষা সমস্যার মোকাবিলায় যে দিশা দেখিয়েছেন তা কি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ দেখায়? নিবন্ধে বলা হয়েছে, বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকের বেতন সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বেতনের অনেক কম। অনেক সময় তা ছয় ভাগের এক ভাগ মাত্র। আর এক জায়গায় বলা হয়েছে, সরকারি স্কুল যতটা লেখাপড়া শেখাতে পারে, বেসরকারি স্কুুল প্রায় ততটাই করতে পারছে অনেক কম খরচে। প্রায় এক তৃতীয়াংশ। সুতরাং দুটি ব্যবস্থাই একই আর্থ-সামাজিক কাঠামোয় সমান ভাবে চালু থাকলে শিক্ষা ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান মালিকের বিপুল লাভের সম্ভাবনা থাকছে। অগ্রগতির প্রশ্নে আমরা কোন মাপকাঠি অনুসরণ করব তা নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, বলা হয়েছে বেসরকরি স্কুলের শিক্ষক সরকারি স্কুলের শিক্ষক অপেক্ষা কম বেতন পান, অথচ কম ছুটি নেন। ক্লাসে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ বেশি। তাঁদের দায়বদ্ধতা বেশি। অতএব জগদীশ ভগবতীর সিদ্ধান্তে বেসরকারি স্কুলই ভবিষ্যৎ হওয়া উচিত। অপর পক্ষে অমর্ত্য সেনের সিদ্ধান্ত, সরকারি স্কুলের এই দুর্বলতা সারিয়ে তোলাই সমাধানের পথ। এ ক্ষেত্রে লেখকদ্বয় মনুষ্যচরিত্র বিষয়ে দুই ঘরানার দুই ভিন্ন দর্শনের যাথাথর্র্য বা দুই মত ও পথের তুলনামূলক বিশ্লেষণ না-করে উভয় পথকেই প্রয়োজনমাফিক ব্যবহারের বিধান দিয়েছেন। আপাতবাস্তবতার বিচারে এই বিধান গ্রহণযোগ্য হলেও প্রশ্ন ওঠে একই আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয় দুই ব্যবস্থাই বর্তমান থাকবে, অথচ তাদের গুণগত মানে তারতম্য ঘটবে না, এটা কি সম্ভব?
তৃতীয়ত, নদী, সেতু ও নৌকার একটি উপমা দিয়ে বলা হয়েছে, যেখানে সেতু নড়বড়ে সেখানে সেতুটিকে মেরামত করে শক্তিশালী করতে হবে, আর যেখানে নৌকায় ফুটো আছে সেখানে ফুটো মেরামত করে নৌকাকে পারাপারের উপযোগী করে তুলতে হবে। এই উপমাকে প্রসারিত করে বলা যায়, ধরা যাক, সেতু মেরামত হল, আবার নৌকার ফুটো ভরাট করে পারাপারের উপযুক্ত হল। সে ক্ষেত্রে, সেতু দিয়ে পারাপার যদি সুবিধাজনক হয়, তবে মানুষ সেটাই ব্যবহার করবে। আর নৌকায় যাতায়াত যদি সুবিধাজনক, তবে মানুষ সেটাই গ্রহণ করবে। সে ক্ষেত্রে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় ব্যবস্থা এক অর্থহীন বিনিয়োগে পর্যবসিত হবে।
মধুসূদন সাহা। কলকাতা-৩২ |
বাগুইআটির জলবন্দি নিয়ে যে ওয়ার্ডের কথা সচিত্র উল্লেখিত হয়েছে, (৩১-৮) তার চেয়েও করুণ পরিস্থিতিতে অদ্যাবধি (৩১ অগস্ট) প্রায় সপ্তাহ ধরে একই রাজারহাট-গোপালপুর মিউনিসিপ্যালিটির অধীন ২৮ নং ওয়ার্ড (পূর্বতন ১৪ নং) পচা, কালো, দুর্গন্ধ জলকাদায় ভর্তি বিদ্যাসাগর পল্লির প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার কষ্ট ভোগ করছি। দু’দশকেরও বেশি সময় আমাদের এই মরসুমি ভোগান্তি। আগে লেকটাউনে এমন হত। অঞ্চলবাসীরা পথ অবরোধ, বিক্ষোভ করে সমস্যা মিটিয়েছেন। এখন সেই পুরনো লেকটাউন ফুটে উঠেছে ২৮ নং ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর পল্লিতে। মানুষের ক্ষোভ ফি-বছর স্ফীত হচ্ছে।
নীহার মজুমদার। কলকাতা-৫৯ |