সাধনা বসাক, রিনা কবিরাজ, রীতা কবিরাজ এবং মায়া তিওয়ারি। ওঁরা সকলেই এ বার দুবরাজপুর পুরসভা নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। তাঁরা যথাক্রমে তৃণমূল, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস এবং বিজিপি-র প্রার্থী। মহিলা সংরক্ষিত দুবরাজপুরের সব কটি ওয়ার্ডের মধ্যে এই ওয়ার্ডের লড়াই জমবে বলেই মনে করছেন বাসিন্দা থেকে প্রার্থী সকলেই। কিন্তু ভোট প্রচারে গিয়ে সকলেই প্রায় একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তা হল, জিতলে ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যা সমাধন করার অশ্বাস দিতে হচ্ছে সকলকেই। কারণ, বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডের মধ্যে বসাকপাড়া, কবিরাজপাড়া, বাগদিপাড়া, মুদিপাড়া-সহ দুবরাজপুর বাজারের সিংহভাগ ঢুকে থাকালেও নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। যা এতো বছরের পুরসভা দূর করতে সক্ষম হয়নি। হবু কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মৌখিক প্রতিশ্রুতিটা অন্তত থাকুক।
|
দেওয়াল লিখনের ছবি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত। |
কী কী সমস্যা রয়েছে? বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার অথচ বাজারে আগত মানুষজনের জন্য বা ব্যবসায়ীদের ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়নি কোনও সুলভ শৌচাগার। আবর্জনা ফেলার জন্য কোনও ভ্যাট নেই। ফলে রাস্তার উপরেই পড়ে থাকে আবর্জনা। সঠিকভাবে নর্দমাও পরিষ্কার করা হয় না। তার ওপর রাস্তার অবস্থাও ভাল নয়। বাজারের মধ্যে ঘিঞ্জি জায়গায় অপরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুতের তার রয়েছে। যা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে বাজার এলাকার মধ্যে দমকল ঢুকে আগুন নেভাবে, সেই পরিস্থিতিও নেই।
ভোটের লড়াইয়ে থাকা রিনা কবিরাজ, রীতা কবিরাজ এবং মায়া তিওয়ারিরা বলছেন, “সমস্যা সত্যিই রয়েছে। কাজ হয়নি।” অভিযোগ, গত দশ বছরে ওই ওয়ার্ড থেকে এক বার জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থী এবং শেষ পাঁচ বছরে কাউন্সিলর ছিলেন গত ক্ষমতাসীন পুরবোর্ডের একমাত্র তৃণমূল কাউন্সিলর অশিস সাহা। যাঁদেরকে না কি তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং ওয়ার্ডের উন্নয়নও হয়নি। এতটা খোলাখুলি না বললেও তৃণমূলের সাধনা বসাকও মানছেন, “আরও বেশি কাজ হওয়া উচিত ছিল।” দুবরাজপুরের বিদায়ী কংগ্রেস পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে অবশ্য সব সমস্যার কথা মানেননি। তিনি বলেন, “বাজার এলাকায় প্রয়োজনীয় জায়গা না পাওয়ার কারণেই শৌচাগার বা ভ্যাটগুলি তৈরি করা যায়নি। তবে ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি ঢালাই করা হয়েছে বহু আগেই। আর দুবরাজপুর যেহেতু বহু আগেই গড়ে উঠেছে সেই কারণেই বাজার এলাকা ঘিঞ্জি।” |