|
|
|
|
ইটাহার-কাণ্ডে অভিযুক্তদের
গ্রেফতার চেয়ে স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজের অধ্যক্ষ-সহ অনান্যদের নিগ্রহে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সোমবার দাবি জানালেন রায়গঞ্জ মহকুমার চারটি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে, লিখিতভাবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, মেঘনাদ সাহা কলেজের অধ্যক্ষা-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। এ দিনের প্রতিনিধি দলে সামিল হয়েছিলেন মেঘনাদ সাহা কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ও। |
|
রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরে
শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “পুলিশ সুপারকে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে না।”
তৃণমূল নেতা গৌতমবাবু বলেন, “ষড়যন্ত্র করে আমার স্ত্রীর খাতায় টুকলির কাগজ ঢুকিয়ে খাতা কেড়ে নেওয়া হয়। সাধারণ পড়ুয়ারা বিষয়টি দেখে প্রতিবাদ করলে আমার স্ত্রীকে আটক করে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার স্ত্রীর রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করলে আইনের আশ্রয় নেব।”
নিগ্রহকান্ডে অভিযুক্ত গৌতমবাবু-সহ তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন বিকালে ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিআইয়ের মহিলা ও যুব সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি ও এআইওয়াইএফের কয়েকশো কর্মী সমর্থক। রাজ্যের প্রাক্তন অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা সিপিআই নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই মিছিল হয়। শ্রীকুমারবাবু বলেন, “অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সমর্থকদের গ্রেফতার করা না হলে দলের তরফে জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামা হবে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, “শ্রীকুমারবাবু ও স্বপ্নাদেবী রাজনৈতিক দেউলিয়া হয়ে কলেজকে সামনে রেখে যেভাবে রাজনীতি শুরু করছেন তাতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই ধীরে ধীরে প্রমাণ হচ্ছে।”
|
পুরনো খবর: মুখ্যমন্ত্রীর নিদানের দিনেই মার শিক্ষিকা, অধ্যক্ষাকে |
|
|
|
|
|