|
|
|
|
সন্ধ্যায় ঠেক বসে মাচায়, নালিশ
রাজা বন্দোপাধ্যায় • হলদিবাড়ি |
পুরসভার নির্বাচনের মুখে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসে ‘আড্ডার’ ব্যবস্থা করতে বাঁশের মাচা তৈরি করে বিপাকে পড়েছে হলদিবাড়ির ডান-বাম নেতারা। প্রচার পর্র সেরে রাতের বেলায় নেতারা বাড়ি ফিরে যেতেই মাচার ‘দখল’ এলাকার একাংশ মদ্যপদের হাতে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। মাচায় উঠে বসে রমরমিয়ে চসে মদের আসর। সকালে এসে মাচায় মদের বোতলের ভাঙা টুকরো, চানাচুরের ফাঁকা প্যাকেট ‘উদ্ধার’ করতে হয় বলে নেতারা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি অন্ধকারে মাচার ঠেক থেকে মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করার অভিযোগও রয়েছে। এমনই নানা অভিযোগে, সোমবার মেখলিগঞ্জে সর্বদল বৈঠকে সব মাচা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হলদিবাড়িতে সর্বদল বৈঠকেও একই নির্দেশ দেওয়া হবে। |
|
‘আড্ডার’ ব্যবস্থা করতে বাঁশের মাচা তৈরি করে
বিপাকে ডান বাম সব দলের নেতারাই।— নিজস্ব চিত্র। |
মেখলিগঞ্জ মহকুমা নির্বাচন দফতরের সহকারি রিটার্নিং অফিসার সৌমেন দত্ত বলেন, “মাচাগুলোর দখল নিয়ে অশাম্তি তৈরি হতে পারে এই আশঙ্কা করে পুলিশ প্রশাসন থেকেও মাচা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। মঙ্গলবার হলদিবাড়িতে সর্বদলীয় সভা আছে, সেখানে সব দলকেই মাচাগুলো ভেঙে দিতে বলা হবে। ওনারা না ভাঙলে প্রশাসনের তরফেই মাচা ভেঙে দেওয়া হবে।”
নির্বাচন দফতর সুত্রে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের তরফেই অনান্য দলের বিরুদ্ধে তাদের মাচা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ মহকুমা নির্বাচন দফতরে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের থেকেও ভোটের জন্য তৈরি মাচায় অসামাজিক কাজকর্ম চলার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। হলদিবাড়ির ১১টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের ১১২টি, কংগ্রেসের ১১০টি এবং বামফ্রন্টের ৯০টি মাচা আছে বলে জানা গিয়েছে।
যে রাজনৈতিক দলগুলি মাচা তৈরি করেছে, এখন তারাই মাচার কুফল নিয়ে সরব। হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তরুন দত্ত বলেন, “মাচায় গভীর রাতে মদ খাওয়া থেকে দিনের বেলায় মেয়েদের উত্যক্ত করা সবই চলছে। আমরা ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনকে সমস্ত কিছু জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোপাল রায় বলেন, “রাতে আমরা চলে যাওয়ার পর মাচায় নানারকম অসামাজিক কাজকর্ম চলে। আমরাও চাই মাচাগুলো ভেঙে দেওয়া হোক।” বামফ্রন্টের আহ্বায়ক রতীশ দাসগুপ্ত বলেন, “এরকম বসার জায়গা না থাকাই ভাল। মাচা তৈরির সময়ে এমন হবে ভাবতে পারিনি। আমরাও প্রশাসনের সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়েছি।”
|
পুরনো খবর: ভোট-মাচা |
|
|
|
|
|