দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সরকারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালু হল তমলুকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের ক্যাম্পাসে সোমবার ওই নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন জেলা হাসপাতালের সভাঘরে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় জেলা হাসপাতালে সরকারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল চালু হল। আমরা চাই আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল সরকারি মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হোক। এ জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।” শুভেন্দুবাবু আরও জানান, হলদিয়ার ভবানীপুরে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের (আই ও সি) যৌথ উদ্যোগে ৫০ আসন বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টার গড়ে তোলার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। তার জন্য আইওসি ৫ কোটি টাকা দেবে। বাকি টাকা হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও রাজ্য সরকার দেবে। |
অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী।—নিজস্ব চিত্র।
|
এই ট্রমা সেন্টার গড়ে উঠলে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের চিকিত্সার সুবিধা হবে। জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করে কলকাতায় রোগীদের পাঠানোর প্রবণতা নিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এই জেলা থেকে অনেক রোগীকে রেফার করে কলকাতা সহ অন্যত্র পাঠানো হয়। এর পিছনে মুলত দুটো কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হল, কিছু ক্ষেত্রে রোগীর চিকিত্সার জন্য অনেক সময় প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ থাকে। ফলে চিকিত্সকরা ভয় পেয়ে এখানে রোগী না রেখে অন্যত্র রেফার করে দেন। আর কিছু ক্ষেত্রে এর পিছনে জেলা হাসপাতালের কিছু কর্মী ও দালাল চক্রের জড়িত থাকার বিষয়ও রয়েছে। জেলা হাসপাতালের কাজে স্বচ্ছতা ও নজরদারি বাড়াতে ক্লোজ সার্কিট টিভি বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
এ দিন জেলা হাসপাতালে চালু হওয়া নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে ৩৫ টি আসন রয়েছে। সম্পূর্ণ আবাসিক ওই স্কুলে ছাত্রীদের জেনারেল নার্সিং মিডওয়াইফারি ( জিএনএম) কোর্স পড়ানো হবে। সাড়ে তিন বছরের এই কোর্সের মধ্যে তিন বছর মেইন কোর্স ও ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের ছাত্রীদের প্রশিক্ষণের জন্য ১০জন শিক্ষিকা পদের অনুমোদন দেওয়া হলেও প্রথম পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সহ চার জন শিক্ষিকা নিযুক্ত করা হয়েছে। নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী ভৌমিক জানান, ইতিমধ্যে মেধার ভিত্তিতে এই নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণের জন্য ৩৫ জন ছাত্রী নির্বাচন হয়েছে। এদের বেশিরভাগই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ছাত্রী। এদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। ৫ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলের ক্লাস শুরু হবে।”
|