|
|
|
|
টুকরো খবর |
ছয় জেলার পাসপোর্ট বহরমপুর দফতরেই |
কলকাতার উপর থেকে পাসপোর্টের আবেদনের চাপ কমাতে চায় বিদেশ মন্ত্রক। তাই চলতি মাস থেকে রাজ্যের ছ’টি জেলার বাসিন্দাদের বহরমপুর পাসপোর্ট অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই তালিকায় মুর্শিদাবাদ ছাড়াও রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, বীরভূম ও নদিয়া। ওই ছ’টি জেলার বাসিন্দাদের আবেদনপত্র আর কলকাতায় জমা নেওয়া হবে না। কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার গীতিকা শ্রীবাস্তব জানান, বহরমপুর পাসপোর্ট কেন্দ্রে রোজ গড়ে ২০০ আবেদনপত্র জমা পড়ছে। ওখানে লোকবল যা, তাতে দিনে ৩০০ আবেদন নেওয়া যায়। অর্থাৎ সেখানকার কর্মীদের পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গীতিকাদেবী বলেন, “বহরমপুরের আশপাশের বাসিন্দাদের অনেকেরই প্রবণতা হচ্ছে, কলকাতায় এসে আবেদন জমা দেওয়া। কলকাতায় আমরা প্রতিদিন ১২০০ আবেদন নিতে পারি। রোজ ওই সংখ্যক আবেদন জমা তো পড়ছেই। তার উপরে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত চাপ পড়ে যাচ্ছে কলকাতার কর্মীদের উপরে।” কাজ ভাগ করে দেওয়ার জন্যই বহরমপুর কেন্দ্রে ওই ছ’টি জেলার বাসিন্দাদের সাধারণ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। তবে তৎকাল ব্যবস্থায় আবেদন জমা দিতে হবে কলকাতাতেই। গীতিকাদেবী বলেন, “এই ব্যবস্থায় কলকাতার উপরে কতটা চাপ কমে, দু’মাস সেটা দেখা হবে। তার পরে অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।” |
কাল অনশনে ৮ শিক্ষক সংগঠন |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য বন্ধে কড়া ব্যবস্থা, বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং পদোন্নতি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকার বিরোধিতায় কাল, বুধবার রাতভর অনশনে বসছে রাজ্যের আটটি শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারার শোকে শিক্ষকদের বকলমে অনশনে বসছে সিপিএম!” ওই সব সংগঠনের মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিটি (ওয়েবকুটা), পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি, কলকাতা, যাদবপুর, বিদ্যাসাগর, বর্ধমান, রবীন্দ্রভারতী ও পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনশন চলবে। তবে এতে ক্লাস ব্যাহত হবে না বলে আহ্বায়কেরা জানান। ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ সোমবার বলেন, “বারবার দাবিদাওয়া জানিয়েও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছি। এতেও ফল না-হলে পুজোর পরে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।” শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য মনে করেন, এই আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর কথায়, “শিক্ষকদের দাবিদাওয়া পূরণ করেছে তৃণমূল সরকার। সত্যিই আন্দোলন করতে চাইলে ওঁরা ২০০৯-’১০ সালে বাম আমলে করতে পারতেন।” শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, তাদের আন্দোলনে রাজনৈতিক রং নেই। |
পুরভোটে বারণ বাইক-বাহিনী |
পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বাইক-বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এ বার পুরভোটে প্রচার পর্বেও বাইক-বাহিনীর মিছিলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ১২টি পুরসভার নির্বাচন। সেই ভোট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। কমিশনের সচিব তাপস রায় সোমবার জানান, পঞ্চায়েত ভোটে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাইক-মিছিল করা যেত। কিন্তু পুরভোটে বাইক-বাহিনীর মিছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কমিশনের নির্দেশ সংশ্লিষ্ট সব জেলা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরভোটের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনার কর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গের যে-সব জেলায় ভোট রয়েছে, সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হবে ৬ই। কমিশনের কর্তারা জানান, ১২টি ২৪৪টি ওয়ার্ডের কোনওটিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ জয়ী হননি। প্রার্থীর সংখ্যা ৮৬৬। |
পুরনো খবর: প্রচারে বাইক বাহিনী নয়, নির্দেশ কমিশনের |
ভাঙন নিয়ে |
গঙ্গার ভাঙন রোধ এবং অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের মন্ত্রী হরিশ রাওতের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মহাকরণে তিনি বলেন, “ব্রহ্মপুত্র বোর্ডে আমাদের রাজ্যের কোনও সদস্য নেই। কেন্দ্রকে বারবার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। ভাঙন রোধ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা। সেই টাকাও মিলছে না।” মন্ত্রী জানান, বৈঠকে এই সব বিষয়েই আলোচনা হবে। অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গেও তাঁর দেখা করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান রাজীববাবু। |
জঙ্গলমহলে আলু |
পুজোর আগেই জঙ্গলমহলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে আলু বিতরণ করবে রাজ্য সরকার। মাথাপিছু এক কিলোগ্রাম আলু দেওয়া হবে। মহাকরণ সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার ৯০ হাজার ৯৭৬ জন, পুরুলিয়ার দু’লক্ষ ১২ হাজার ৮০২ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’লক্ষ ৬৪ হাজার ৮২১ জন পড়ুয়া আলু পাবেন। এই আলু কিনতে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। সোমবার মহাকরণে তিনি জানান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য পাঁচ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৯৯ কেজি আলু কেনা হবে। হিমঘরেই ওই আলু মজুত আছে। |
|
|
|
|
|