পুরুলিয়ার ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই সমিতি ছিল বামফ্রন্টের হাতে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক নেপাল মাহাতো এই এলাকার (ঝালদা ১) বাসিন্দা হলেও তাঁর নিবার্চনী কেন্দ্রের দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি ঝালদা ১ ও বাঘমুণ্ডি ছিল বামেদের হাতে। জেলা জুড়ে তৃণমূলের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যেও এ বার সেই দু’টি সমিতিই এ বার দখল করেছে কংগ্রেস।
সোমবার জেলায় ঝালদা ১ ও মানবাজার ১ এই দু’টি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হয়। ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই পেয়েছে ১৬টি। তৃণমূল ৪টি ও বামফ্রন্ট ২টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও এ দিন সভাপতি পদে কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলও প্রার্থী দেয়। ভোটাভুটিতে অবশ্য কংগ্রেসের বুলু মুড়া সভাপতি হন। তাঁর পক্ষে ১৬টি ভোট পড়ে। অন্য দিকে, তৃণমূলের বৃন্দাবন সিংহ মানকি ৪টি ভোট পান। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হামেদা বানো। |
জয়ের উল্লাস ঝালদায়। ছবি: প্রদীপ মাহাতো। |
বুলু মুড়া এই পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ঝালদা-দঁড়দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে জয়ী হয়েছেন। এই এলাকারই বাগবিন্ধ্যা গ্রামে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে মাওবাদীরা এক রাতে সাত জনকে খুন করেছিল। কংগ্রেস এ বার সেই গণহত্যার এলাকা থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বেছে নিয়েছে। নেপাল মাহাতো বলেন, “অনুন্নত এলাকা থেকে আমরা সভাপতি করেছি, যাতে পিছিয়ে পড়া এলাকার সমস্যাগুলি গুরুত্ব পায়। পাশাপাশি সহ-সভাপতি পদ সংরক্ষিত না হলেও একজন সংখ্যালঘু মহিলাকে আমরা এই দায়িত্ব দিয়েছি একই কারণে।” নবনিবার্চিত সভাপতি বুলুবাবু বলেন, “এলাকায় সমস্যা সমাধানই হবে আমাদের অগ্রাধিকার।”
এ দিনই মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। মোট ২৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূলই পেয়েছে ২২টি। সিপিএম বাকি ৪টি। মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন, “২২ জন সদস্যের সমর্থনে তৃণমূলের কবিতা মাহাতো সভাপতি ও প্রভাত মাহাতো সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ওই দু’টি প্রশাসনিক পদে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।” দলীয় ভাবে সভাপতি ও সহ-সভাপতির নাম চূড়ান্ত করার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর উপস্থিতিতে শনিবার মানবাজারে একটি বৈঠক হয়। তবে, এ দিন দলের পক্ষ থেকে সভাপতি হিসাবে কবিতা দেবীর নাম ঘোষণা হলে গোপালনগর অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। |