আড়াই বছর ধরে কাউন্সিলার শূন্য বেলডাঙার ১০ নম্বর ওয়ার্ড। এ ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের রিম্পা দাস পদত্যাগ করার পর এতদিনেও উপ নির্বাচন না হওয়ায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
২০১০ সালের জুন মাসে নির্বাচনে ১০টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে কংগ্রেস ওই পুরসভার দখল নেয়। বোর্ড গঠনের কিছু দিন পর রিম্পাদেবী পদত্যাগ করেন। কাউন্সিলারহীন ওই ওয়ার্ডের প্রায় হাজার দু’য়েক বাসিন্দা নানা সমস্যায় জর্জরিত। আঢ্যপাড়া, মাঝপাড়া, সাহেবপাড়া, বেনেপাড়া এলাকায় জলকষ্ট চরমে উঠেছে। এমনকী জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রেও স্থানীয় কাউন্সিলারকে পান না এলাকার মানুষ। কাউন্সিলার না থাকায় ইন্দিরা আবাস যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার গরিব মানুষরা। পড়ুয়ারাও তাদের প্রয়োজনে কোনও রকম শংসাপত্র পাচ্ছে না।
কিন্তু এতদিন ধরে কাউন্সিলার নেই কেন?
বেলডাঙা পুরসভার কংগ্রেস পুরপ্রধান অনুপমা সরকার বলেন, “ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলার না থাকলেও বাসিন্দারা নিয়মিত পুর পরিষেবা পান। পুরসভার মূল ভবন থেকেই সমস্যা মেটানো হয়। তবে ওই আসনে নির্বাচন চেয়ে জেলা প্রশাসন তথা সদর মহকুমা শাসককে লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হল না। ভেবেছিলাম ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে কিন্তু তা হচ্ছে না।”
সদর মহকুমা শাসক অধীর বিশ্বাস বলেন, “রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কিন্তু ভোট করা নিয়ে কেনও নির্দেশিকা না মেলায় ওই ওয়ার্ডে ভোট করা যাচ্ছে না।” |