ভাঙনের গ্রাস ছিলই। এ বার বাঁধ ভেঙে জল ঢুকল ডোমকল মহকুমার দু’টি ব্লকে। রবিবার রাত থেকে পদ্মার পাড়-ভাঙা সেই জলে কার্যত বানভাসি চেহারা রানিনগর-২ এবং জলঙ্গির। জলের তলায় হাজার একর আবাদি জমি। উত্তর ও দক্ষিণ চর মাঝাড়দেয়াড়, মহাদেবপুর, শিবপুর, বর্ডারপাড়ায় ডাঙার অবশিষ্ট নেই। জলমগ্ল গ্রামে দু’টি স্কুল এখনও খোলা। শিক্ষকেরা জানান, স্কুলে এলে মিড ডে মিলের খাবার তো জুটবে! ডোমকলের মহকুমাশাসক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, “জলঙ্গি ও রানিনগর-২ ব্লকে জল ঢুকেছে। বন্যা পরিস্থিতি বলা না গেলেও জল বাড়লে পরিস্থিতি সে দিকেই যাচ্ছে।” রবিবার পর্যন্ত জলঙ্গির চর এলাকায় ১০৫টি পরিবার ফ্লাড শেল্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। রাজানগর ও রাজাপুর এলাকার ৭৫টি বাড়ির মানুষকে সরাতে হয়েছে। রানিনগরের বিডিও সুব্রত মজুমদার বলেন, “দুর্গাপুর ও মহাদেবপুর এলাকার মাঝে একটি সাঁকোটা ভেঙে গিয়েছে। দিনভর খেটে ওই সাঁকোটি মেরামত করাই কাজ।”
অন্য দিকে, প্রতি বছরের মতো বর্ষায় তার চেনা চেহারায় ভগবানগোলা ব্লকের নির্মলচর। বাংলাদেশ সীমানা লাগোয় ওই চরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন জলমগ্ন। ইতিমধ্যেই নির্মলচরের বন্যা কবলিত ৪৫০ পরিবারকে উদ্ধার করে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য ও তারপলিন চাওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের ঊর্মিলা মণ্ডল বলেন, “নির্মলচরের ৫টি গ্রাম সংসদের বানভাসি ১২-১৩ হাজার মানুষের জন্য পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৫ কুইন্টাল চাল।” আপতকালীন আশ্রয়ের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে নির্মলচরে তৈরি করা হয়েছিল দু’টি ফ্লাড শেল্টার। দু’টিই এখন বিএসএফের দখলে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের ওয়াহেদা বিবি বলেন, “আশ্রয় থাকলেও তার সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কোথায়? ও তো বিএসএফের দখলে।” |