অবশেষে ভাদ্রে পদ্মা তার চেনা চেহারায় ধরা দিল। শনিবার থেকেই জল বাড়ছিল। রবিবার রাতে পাড় ভেঙে পিরোজপুর ও বাজিতপুর প্রায় ভেসে গিয়েছে। দু’টি গ্রামে অন্তত হাজার দশেক মানুষের বসবাস। গত দু’দিন ওই দুই গ্রাম ভাসিয়ে পদ্মা এখন আরও উত্তরে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ওই দুই গ্রামেই এ দিন দুপুরে গিয়ে দেখা গিয়েছে জল প্রায় এক বুক। বহু বাড়ির বাসিন্দারাই রাত কাটাচ্ছেন মাচার উপর। কোথাও বা বাসিন্দাদের ঠাঁই হয়েছে প্রতিবেশীদের ছাদে। অনেক বাড়িরই শুকনো খাবারের রসদও শেষ। ক্ষোভ, মিলছে না সরকারি ত্রাণও। |
অন্য দিকে, ফরাক্কা ব্যারাজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাক্কায় গঙ্গায় জলের উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে। উত্তরে ৭৯.৭০ ফুট উচ্চতা এবং দক্ষিণে ৭৯.৫০ ফুট উচ্চতায় জল বইছে বিপদসীমার প্রায় ৫ ফুট উপর দিয়ে। জল আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। ফলে সুতি-১ ও সুতি-২ ব্লক দু’টির গ্রামগুলিতেও বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পিরোজপুরে রয়েছে বিএসএফের একটি সীমান্ত চৌকি। সেখানে পদ্মার জল ঠেকাতে ৪ ফুট উঁচু মাটির বাঁধ দিয়েছিলেন জওয়ানেরা। কিন্তু জলের মধ্যে গ্রামে টহল দিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। |
গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার জল ঢুকছিল দু’পাড়ের গ্রামগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দা সিরিন বিবির অভিযোগ, “বাজার থেকে আনাজপাতি আনতে গিয়ে নৌকোয় গলাকাটা ভাড়া দিতে হচ্ছে।” ক্ষোভ ঝরে পড়ছে স্থানীয় মৌসুমি বিবির গলাতেও। অসুস্থ ছেলেকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকো ভাড়া করেছিলেন। তিনি বলেন, “কোথায় নেতারা? তাদের তো দেখা নেই। বাড়ি জলে ভাসছে। এ দিকে ঘরে খাবারও নেই।” |