|
|
|
|
পুরনো মামলায় ধৃত সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
গ্রেফতার হলেন সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক বাদল রানা। সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে বৈতা মোড় এলাকা থেকে বাদলবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। নিজের বৌদিকে ধর্ষণ এবং তৃণমূলের লোকজনের উপর সশস্ত্র হামলা চালানোর দু’টি মামলায় অভিযুক্ত বাদলবাবুকে বেশ কিছুদিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে বাদলবাবু গা-ঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
বাদল রানা।
—ফাইল চিত্র।
|
সোমবার মেদিনীপুরে দলের সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বাদলবাবু। সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম ফেরার সময় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারের প্রতিক্রিয়া, “পরিকল্পিত ভাবে সাজানো মামলায় বাদলবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দল বাদলবাবুর পাশে আছে। দলীয় স্তরে বাদলবাবুকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ জুন সাঁকরাইল থানার রগড়া অঞ্চলের নেকড়াশোল গ্রামে তৃণমূলের লোকজনের উপর তির-ধনুক-টাঙি নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগে ওঠে বাদলবাবুর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সাঁকরাইল থানায় বাদলবাবুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়। এরপর গত ১৭ জুন বাদলবাবুর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরই বড় বৌদি। আদালতের নির্দেশে গত ২১ জুন বাদলবাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। অভিযোগকারী মহিলার স্বামী অচিন্ত্য রানা হলেন বাদলবাবুর সহোদর দাদা। অচিন্ত্যবাবু তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক কমিটিরও সদস্য। তাই এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, “ধর্ষিতা মহিলার অভিযোগ প্রথমে সাঁকরাইল থানার পুলিশ নেয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ মামলা রুজু করতে বাধ্য হয়। এর থেকেই প্রমাণ হয়, মামলা সাজানো হয়নি। ” |
|
|
|
|
|