পাঁচ দিন পরেই রবিবার মরসুমের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ কালিঘাট এমএস। আর সেই ম্যাচে বিদেশিহীন থাকার সম্ভাবনাই বেশি ইস্টবেঙ্গলের। ক্লাব সূত্রে খবর সে রকমই। যদিও লাল-হলুদ কোচ মার্কোস ফালোপা এ ব্যাপারে আগাম কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।
চলতি মরসুমে লাল-হলুদের স্থানীয় ফুটবলারদের আইএফএ অফিসে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার শেষ দিন ছিল ২৩ জুলাই। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে চিডি এবং উগা ওপারার সই না হওয়ায় স্থানীয় লিগের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না লাল-হলুদ আক্রমণ এবং রক্ষণ ভাগের এই দুই স্তম্ভ। এই নিয়মের বেড়াজালে আটকে গিয়ে কালিঘাট এমএস-এর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নেই গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহও।
চিডি এবং ওপারাকে বাদ দিলে লাল-হলুদের বাকি দুই বিদেশি সুয়োকা এবং জেমস মোগা। দু’জনেই আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্র নিয়ে এ বছর ইস্টবেঙ্গলে আসায় এই নিয়ম তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল না। কিন্তু চোটের কারণে দু’জনেই অনিশ্চিত। সুয়োকার চোট কাফ মাসলে। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট ভোগাচ্ছে জেমস মোগাকে। এ দিনও হালকা অনুশীলন এবং জিম করেই ক্লাব তাঁবু ছাড়লেন দু’:জনে। রবিবারের মধ্যে দু’জনে ম্যাচ ফিট হয়ে যাবেন কি না সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এ দিন, ইস্টবেঙ্গল ফিজিক্যাল ট্রেনার আমেরিকো ফালোপা দেখিয়ে দেন কোচ মার্কোস ফালোপাকে। আর কোচ বলছেন, “নো কমেন্টস।”
যদিও লাল-হলুদ শিবিরের ভিতরের খবর, আসন্ন এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের কথা ভেবেই মোগা এবং সুয়োকাকে নামিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল। সে ক্ষেত্রে কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে লাল-হলুদের স্বদেশি ব্রিগেডকেই দেখার সম্ভাবনা বেশি।
এ দিকে, খড়গপুর থেকে ফেরার পর এ দিন বিকেলে ক্লাবেরই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিরুদ্ধে অনুশীলন ম্যাচ খেলল ফালোপার ছেলেরা। বড়দের ছোটরা হারাল ২-০। গোল করলেন সৌরভ রায় এবং ফিরোজ আলি। সোমবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে এসেছিলেন গত মরসুমের অধিনায়ক সঞ্জু প্রধান। ডিকা, রবার্টদের অনুশীলন ম্যাচ দেখলেন মাঠে বসেই। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, “আইএমজি-রিলায়্যান্স ও ক্লাবের ঝামেলা মিটে গেলে ইস্টবেঙ্গলই আমার প্রথম পছন্দ।” |