দত্তা গায়কোয়াড়ের পর ৫০ বছরে এমন সুযোগ পাননি কোনও ভারতীয় অধিনায়ক। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তা হলে সে দায়িত্ব পাচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ১৯৫৯-এর পর প্রথম ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার। আগামী বছর ২৬ জুন থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের এই সিরিজে থাকবে পাঁচটি ওয়ান ডে আর একটি টি-টোয়েন্টিও।
১৯৫৯ সিরিজে দত্তা গায়কোয়াড়ের ভারত ০-৫ হেরেছিল। ধোনিদেরও ২০১১-র শেষ ইংল্যান্ড সিরিজে টেস্ট ০-৪ আর ওয়ান ডে ০-৩ হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয়েছে। দুটো হারের বদলা নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ এ বার ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর সামনে। আপাতত ঠিক হয়েছে পাঁচটি টেস্ট হবে ট্রেন্টব্রিজ, লর্ডস, এজেইস বোল, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড আর ওভালে। প্রথম ওয়ান ডে ২৫ অগস্ট ব্রিস্টলে। ইসিবি-র আশা দু’বছর আগের সিরিজের মতো এ বারও টিকিটের চাহিদা থাকবে তুঙ্গে।
ইসিবির ঠিক উল্টো অবস্থা আবার দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আদৌ ভারত যাবে কি না সে ব্যাপারে সংশয় ক্রমশ বাড়ছে। এক দিকে ভারতের মাঠে প্রস্তাবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ রয়েছে। যে সিরিজ শেষ হতে হতে নভেম্বর হয়ে যাওয়ার কথা। অন্য দিকে আবার ভারতের নিউজিল্যান্ড সফর এগিয়ে ১৯ জানুয়ারি হয়েছে। ফলে মাঝের এই সময়ে কী ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর ভারতীয় বোর্ড আসন্ন সফরের যে তালিকা ঘোষণা করেছে তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের উল্লেখ নেই। বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন যদিও বলছেন ‘সিরিজ হবে’। পাশাপাশি আবার শোনা যাচ্ছে ঘোষিত সফরে কাটছাঁট করে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডকে প্রস্তাব পাঠানোর কথা ভাবছে ভারতীয় বোর্ড। শ্রীনিবাসন বলেছেন, “আমি বলিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। নিশ্চয়ই সিরিজটা হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা শুধু নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রস্তাব দিয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি।”
এক বোর্ড কর্তা আবার এ দিন বলেন, “ক্রিকেটার আর বোর্ডের স্বার্থ দুটোই আমাদের দেখতে হবে। দু’দিক থেকেই এত দীর্ঘ সফর যুক্তিসঙ্গত নয়। ক্রিকেটারদের বিশ্রামের জন্য দুটো সফরের মাঝে ফাঁকা সময় প্রয়োজন।” দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের তরফে এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এক বোর্ডকর্তা শুধু বলেছেন, “আগে সরকারি ভাবে সব জানি।” |