|
|
|
|
পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত, ওয়ার্ড বেড়ে ২৫ মেদিনীপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর পুরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত হয়েছে। সোমবারই এই বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁছেছে পুরসভায়। কোন ওয়ার্ডে কী কী এলাকা রয়েছে, তা উল্লেখ রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আগে মেদিনীপুরে ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এলাকা পুনর্বিন্যাসের ফলে একটি ওয়ার্ড বেড়েছে। ফলে, মেদিনীপুরের ওয়ার্ড সংখ্যা এখন ২৫টি। আগামী ২২ নভেম্বর পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।
গত ১৭ জুলাই মেদিনীপুরে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। প্রশাসক হিসেবে পুরসভার দায়িত্বে আসেন মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্ত। ২০০৮ সালের ২৯ জুন রাজ্যের অন্য ১২টি পুরসভার সঙ্গে মেদিনীপুর পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল। ফল বেরোনোর পর ১৮ জুলাই পুরবোর্ড গঠন হয়। সাধারণত, পুরনো বোর্ডের মেয়াদ ফুরনোর আগেই পুর- নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, এ বার তা হয়নি। নিয়মানুযায়ী, মেয়াদ ফুরনোর পর আর এক মুহুর্তও পুরসভার কাজকর্মের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে পারবেন না বিদায়ী বোর্ডের সদস্যরা। শহরের ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডকে ভেঙে নতুন ২৫ নম্বর ওয়ার্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি, গোপগড়কে এ বার পঞ্চায়েত থেকে পুর- এলাকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। |
আসছে পুর-নির্বাচন |
• আগে ওয়ার্ড ছিল ২৪টি।
• একটি ওয়ার্ড বেড়ে বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা দাঁড়াল ২৫টি।
• ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড ভেঙে নতুন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে।
• নতুন ওয়ার্ডে থাকবে অশোকনগর চক, গেটবাজার, গোপগড় প্রাথমিক স্কুল,
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, বিড়লা কটন মিল প্রভৃতি এলাকা।
• পুনর্বিন্যাসে পঞ্চায়েত থেকে পুর এলাকায় ঢুকল গোপগড়। |
|
পুরসভা সূত্রে খবর, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বদিকে রয়েছে অশোকনগরচক থেকে গেটবাজার এলাকা। পশ্চিম দিকে রয়েছে গোপগড় প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা। দক্ষিণ দিকে রয়েছে গেটবাজার থেকে গোপগড় প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর। আর উত্তর দিকে অশোকনগর থেকে বিড়লা কটন মিল এলাকা। প্রসঙ্গত, পুরসভা নির্বাচনের আগে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওয়ার্ড বিন্যাস চূড়ান্ত না- হওয়া পর্যন্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়। আর ভোটার তালিকা না- হলে নির্বাচন হবে না। আগে জেলা থেকে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের মানচিত্র পাঠানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আগে নম্বর অনুযায়ী মেদিনীপুরের ওয়ার্ডগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। এক দিকে ছিল ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। আবার অন্য দিকে ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড। কেন ১৮, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড শহরের পূর্বদিকে থাকবে, কেন ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিমদিকে থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের ফলে অবশ্য এই পরিস্থিতি আর নেই। অন্যদিকে, এরফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুন ওয়ার্ডের নম্বরের মিল থাকছে না। যেমন, আগে যে ওয়ার্ডটির নম্বর ৩ ছিল। এখন সেই ওয়ার্ডটির নম্বর ৮ হয়েছে। |
|
|
|
|
|