খানাকুলের ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব
২০ লক্ষ টাকা, ধন্দে পুলিশকর্তারা নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কের ভিতর থেকেই উধাও হয়ে গেল ২০ লক্ষ টাকা। যার জেরে ভোগান্তির একশেষ হলেন ব্যাঙ্কে সে সময়ে হাজির থাকা জনা তিরিশ গ্রাহক। চুরির খবর জানতে পেরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশের পরামর্শ মতোই ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তদন্তকারী অফিসারেরা এসে প্রত্যেক গ্রাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সকলের তল্লাশিও চালানো হয়। প্রত্যেকের ছবি তুলে রাখা হয়। টানা আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এই ভোগান্তির জেরে বিরক্ত গ্রাহকেরা।
সোমবার ঘটনাটি ঘটে খানাকুলের কৃষ্ণনগরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা অফিসে। পুলিশ আপাতত ধন্ধে। মুখ খোলেননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও। ব্যাঙ্ক কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট শাখায় দৈনিক নগদ গচ্ছিত রাখার ঊর্ধ্বসীমার থেকে ২০ লক্ষ টাকা বেশি চলে এসেছিল। সেই বাড়তি টাকা ব্যাঙ্কের শ্রীরামপুরের মাহেশ শাখায় জমা রাখার জন্য দুই ব্যাঙ্ক কর্মী তৈরি হচ্ছিলেন।
|
পুলিশকে ভাবাচ্ছে |
• ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকদের তল্লাশি চালিয়ে মেলেনি কিছুই। তা হলে অতগুলো টাকা উবে গেল কোথায়?
• ব্যাঙ্কের পুরনো হিসেব-নিকেশে গরমিল হচ্ছে না তো?
• যদি চুরি হয়েই থাকে, তবে ভিতরের কারও যোগসাজশ ছাড়া তা কী আদৌ সম্ভব? |
|
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা যায়, ওই দু’জন স্ট্রং রুম থেকে ২০ লক্ষ টাকা বের করেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশকে জানিয়েছেন, টাকা বের করে নিজের টেবিলে রেখে ট্রাঙ্ক আনতে যান পাশের ঘরে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে দেখেন, টাকার বান্ডিলগুলি উধাও। হইচই শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ আসে। এতগুলি বান্ডিল কী ভাবে গায়েব হয়ে গেল, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ কর্তারা।
মাত্র দিন চারেক আগে কাজে যোগ দিয়েছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জি সি গুপ্তা। তিনি জানান, এ ব্যাপারে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই বলবেন। আরামবাগের এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্র এসেছিলেন ঘটনাস্থলে। তিনি বলেন, “যে জায়গা থেকে টাকা চুরি হয়েছে বলা হচ্ছে, সেখানে বাইরে থেকে কেউ এসে হুট করে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা নেই।” পরে ঘটনাস্থলে আসেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পদস্থ আধিকারিক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এসডিপিও তাঁকে অনুরোধ জানান, ব্যাঙ্কের হিসেবপত্রে পুরনো কোনও গরমিল আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হোক। জয়ন্তবাবু জানান, পুলিশ বিষয়টি দেখছে। |