টুকরো খবর
কালনায় উচ্ছেদের প্রতিবাদে সভা
চলছে সভা। —নিজস্ব চিত্র।
বসতবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় কালনায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবার সন্ধ্যায় সভা করল ‘জাপট মিশন বাস্তুভূমি রক্ষা কমিটি’। উপস্থিত ছিলেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, কালনার উপ-পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ, প্রাক্তন পুরপ্রধান গৌরাঙ্গ গোস্বামী-সহ নানা রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় জাপট এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করেন। কিন্তু সেই জমি শেখর দে নামে এক ব্যবসায়ী কিনে নিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি এলাকায় মাপজোকও শুরু করেছেন। ‘বাস্তুভূমি রক্ষা কমিটি’র আশঙ্কা, তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে। সংগঠন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর আগে স্কটল্যান্ড থেকে কয়েক জন এসে জাপট এলাকায় বসবাস করতেন। অনেক দিন বসবাসের পর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। প্রায় ৭০ বছর আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান থেকে ৪৭টি উদ্বাস্তু পরিবার কালনা শহরে এসে ওই জমিতে বসবাস শুরু করেন। তার পর থেকে তাঁরা ওখানেই রয়েছেন। যদিও শেখর দে-র দাবি, “বিদেশিরা চলে যাওয়ার পর ওই জমির মালিক হয় ইউনাইটেড চার্চ অফ নরদার্ন ইন্ডিয়া ট্রাস্টি অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থার অধীনে থেকে কালনার এই সম্পত্তি দেখাশোনা করত দুর্গাপুর ডায়োসিয়ান ট্রাস্ট অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থাটির থেকে আমি সম্পত্তির একটি অংশ কিনেছি।” তাঁর আশ্বাস, “জোর করে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তবে সম্পত্তি আমার নামে সরকারি নথিভুক্তি হওয়ার পর যদি কেউ স্থায়ীভাবে ওই জমির মালিক হতে চায় তাঁকে আমার কাছ থেকেই জমি কিনতে হবে।”

এসপি-র বিরুদ্ধে পরোয়ানা প্রত্যাহার
পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করল কাটোয়া আদালত। একটি মামলায় ২১ অগস্ট পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তিনি হাজির হননি। তাই আদালত অবমাননায় তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক সন্দীপকুমার কুণ্ডু। পুলিশ সুপার এই পরোয়ানা প্রত্যাহারের জন্য একটি আবেদন জানান। তাতে আদালতকে তিনি জানান, গুসকরা ও বর্ধমান পুরসভার মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া চলায় তিনি সে দিন প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলেন। তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১ অগস্ট শুনানি হয়। সোমবার বিচারক পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপারের তরফে কাটোয়া আদালতে হাজির থাকা আইনজীবী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

কাটোয়া-ধর্ষণে ফের সাক্ষ্যদান
ফের শুনানি হল কাটোয়া ধর্ষণ মামলার। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কাটোয়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অভিযোগকারিণী মহিলার জেরা শুরু হয়। শুক্রবারের মতোই এ দিনও রুদ্ধদ্বার আদালতে শুনানিপর্ব চলে। ধর্ষণে অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযোগকারিণীকে জেরা করেন। তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের অন্য আইনজীবীরা ফের ওই মহিলাকে মঙ্গলবার জেরা করবেন।” ঘটনার মূল প্রত্যক্ষদর্শী অভিযোগকারিণীর মেয়ের সাক্ষ্যগ্রহণ সোমবারও হয়নি। গত শুক্রবার সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতেই অভিযোগকারিণী তিন জন অভিযুক্তকে আদালতে চিনিয়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগকারিণী জানিয়েছিলেন, রেজাউল মির্জা ওরফে বাবু তাঁকে ধর্ষণ করেছে। নয়ন শেখ ও ফরিদ শেখ ঘটনাস্থলে ছিল। ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া-আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনে (এখন ব্রডগেজের কাজ চলছে) কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি ও অম্বলগ্রাম স্টেশনের মধ্যে ট্রেনে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ।

তৃণমূলের দ্বন্দ্বে ভোটাভুটি রায়নায়
সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটি এড়াতে পারল না তৃণমূল। রায়না ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈলেন সাঁইয়ের অনুগামী হিসেবে পরিচিত শেখ আনোয়ার আলি ১৪-৩ ভোটে হারিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ ঘনিষ্ঠ নেতা আজিজুল বারিকে। সহ-সভাপতি পদে অবশ্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন গুলজামাল বেগম। রায়না ১ বিডিও তপন হালদার বলেন, “সভাপতি পদে ভোটাভুটি হলেও সহ-সভাপতি পদে গুলজামাল বেগমের বিরুদ্ধে যাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়, তিনি নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাননি। তাই ওই পদে ভোট হয়নি।” এ দিন তৃণমূলেরই দু’টি পক্ষের মধ্যে ভোটাভুটি হলেও কোনও অশান্তি হয়নি। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ব্লক অফিসের কাছে যেতে দেয়নি পুলিশ। ব্লক সভাপতি শৈলেন্দ্রবাবু বলেন, “শান্তিতে সব কিছু মিটে যাওয়ায় আর এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।” জেলা সভাপতি স্বপনবাবুও বলেন, “যিনি সভাপতি হয়েছেন তিনি তো তৃণমূলেরই সদস্য। তাই এ নিয়ে গোলমালের কিছু নেই।” এই পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৬, সিপিএম ৭ ও নির্দল একটি আসনে জিতেছিল। পরে নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।”

সিপিএমের তরফে এলেন শুধু ‘অপহৃত’
যে মহিলা সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে একমাত্র তিনিই উপস্থিত থাকলেন সিপিএমের পক্ষ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বস্থলী-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে। গতকাল সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, পূর্বস্থলী-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে তাঁদের সভাপতি পদপ্রার্থী নাসিরা বেগমকে অপহরণ করেছে তৃণমূল। এই অভিযোগে দলের পক্ষ থেকে শপথগ্রহণ ও বোর্ড গঠন অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, এ দিন বোর্ড গঠন ও শপথ গ্রহণে সিপিএমের বাকি সদস্যরা না থাকলেও নাসিরা বেগম ছিলেন। জয়ী ২ বিজেপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। ভোটাভুটি ছাড়াই সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূলের গোপা ঘোষ। সহ-সভাপতি হন তৃণমূলেরই হূসনেআরা খানস মণ্ডল। ঘটনায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে সিপিএম নেতৃত্ব। দলের পূর্বস্থলী জোনাল সম্পাদক সুব্রত ভাওয়ালের অবশ্য দাবি, “দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমিতিতে জয়ী সদস্যরা আজ শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। নাসিরা বেগমকে অপহরণ করা অবস্থাতেই তৃণমূল জোর করে এ দিন নিয়ে এসেছিল।” পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরো ঘটনাটাই সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” এ দিন কালনা-২ পঞ্চায়েত সমিতিরও বোর্ড গঠন হয়। সভাপতি হন তৃণমূলের আলমগীর সাত্তার ও সহ সভাপতি হন তৃণমূলেরই রূপা চৌধুরি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.