|
|
|
|
গণ্ডগোলে বোর্ড গঠন হলই না বুদবুদে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সময় মারধর ও হামলায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল গলসি ১ ব্লক কার্যালয়ে। অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সোমবার ভেস্তে গেল গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। দু’পক্ষের মারামারিতে পাঁচ জন জখম হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’পক্ষের প্রায় পঞ্চাশ জন গ্রেফতার হয়েছে বলা জানিয়েছে পুলিশ।
গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ২৭। এর মধ্যে ১৭টিতে জিতেছে তৃণমূল। দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অনুগামী ১১ জন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে ব্লক কার্যালয়ে বোর্ড গঠনের জন্য উপস্থিত হন। জনার্দনবাবুর অভিযোগ, তখন বর্তমান ব্লক সভাপতি পরেশচন্দ্র পালের অনুগামীরা ব্লক কার্যালয়ের ভিতরেই তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা নির্বাচিত সদস্যদের উপর হামলা চালায়। তাঁর মোবাইল ফোন এবং নির্বাচিত হওয়ার শংসাপত্রটিও কেড়ে নেয় তাঁরা। এমনকী মারধর করা হয় তাঁদের। জনার্দনবাবু বলেন, “পুলিশের সামনেই আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদের মারধর করে বের করে দেয় পরেশচন্দ্র পালের অনুগামীরা। আমার মাথায় ও বুকে চোট লাগে।” তাঁর দাবি, হামলায় সময় তাঁর অনুগামীরা বাধা দিতে গেলে, তাঁদের সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়ে যায় পরেশবাবুর অনুগামীদের। পরেশবাবুর সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এ দিন শুরু থেকেই এলাকায় ছিল পুলিশ ও র্যাফ। গণ্ডগোলের সময় পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এখানে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতি পরেশচন্দ্র পালের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চলছিল। বুদবুদের প্রাক্তন প্রধান কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় এবার পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি। কাশীনাথবাবু তখন অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় তাঁকে টিকিট দেননি। এরপরে কাশীনাথবাবু জোড়া পাতা চিহ্নে নির্দল প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে লড়েন এবং জিতে যান। কাশীনাথবাবু পরেশবাবুর অনুগামী বলেই পরিচিত। |
|
|
|
|
|