তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এ বার তথ্য জানার অধিকারকে হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্য সরকার কতটা রূপায়ণ করেছে বা রাজ্য সরকারের কোন দফতরে কী কাজ হয়েছে, মানুষের কাছে তার খতিয়ান তুলে ধরতে তথ্যের অধিকার (আরটিআই) আইনে আবেদন করার জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস।
গত ২৭ মাসে বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রীরা প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পেশ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে হামেশাই। মন্ত্রীদের কাছে জবাব না পেলেও এ বার থেকে আরটিআই মারফত তথ্য জেনে তা বিধানসভায় তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কংগ্রেস বিধায়করা। সেই লক্ষ্যেই তথ্য জানার অধিকারের খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবহিত করতে রবিবার দলীয় নেতা-বিধায়ক, কর্মীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। সেখানে ‘প্রশ্নোত্তরে তথ্যের অধিকার আইন’ শীর্ষক একটি পুস্তিকার পাশাপাশি একটি আবেদনের নমুনা ফর্মও বিলি করা হয়েছে কর্মীদের মধ্যে। বোঝানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রিসভার সদস্যেরা নানা সময়ে যে সব অভিযোগ বা তথ্য দিচ্ছেন, তথ্যের অধিকার বলে তার সত্যাসত্য জানার সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এই পথে শাসক দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারা যাবে বলে কংগ্রেস আশাবাদী। দলের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া, অসিত মিত্রদের বক্তব্য, রাজ্যের মন্ত্রী, সচিবদের চিঠি লিখলে জবাব মেলে না। বিধানসভায় জবাব না-দিয়ে বা কৌশলে প্রশ্ন বাতিল করে তৃণমূল। কিন্তু আরটিআইয়ের তথ্য বিধানসভায় তুললে তা অস্বীকার করতে পারবে না তারা। তাতেই কাজের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসবে।
কেন্দ্রের তৈরি আরটিআই আইন কাজে লাগিয়ে মমতার সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আনতে রাজ্য কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকম্যান্ড। রাজ্যে কে সাংসদ তহবিলের কত টাকা পেয়েছেন এবং কতটা ব্যবহার করেছেন, আরটিআই-এ তার হিসেবও চাওয়া হবে বলে মানসবাবু জানান। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলার মতো বিষয়ে ব্লকভিত্তিক উন্নয়নের খতিয়ান আরটিআই-এ জেনে জেলাশাসক, বিডিও-র অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশও এ দিনের কর্মশালায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। |