তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের আপত্তিতে আটকে গেল এনটিপিসি-র তৃতীয় ‘অ্যাশ পন্ড’ (ছাইগাদা) তৈরির উদ্যোগ।
এনটিপিসি সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রতিদিন ৬টি ইউনিটে ২১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। এর জন্য বছরে প্রায় ৮ মিলিয়ন টন কয়লা পোড়ে। ছাই তৈরি হয় ৩ মিলিয়ন টন। এই বিপুল পরিমাণ ছাই ফেলার জন্য দু’টি ‘অ্যাশ পন্ড’ যথেষ্ট নয়। নিজেদের পরিত্যক্ত জমিতেই এনটিপিসি তৃতীয় ছাই গাদা তৈরির পরিকল্পনা নেয় এনটিপিসি। এ ব্যাপারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তা, সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে রবিবার ফরাক্কার বিডিও সুব্রত চক্রবর্তী ভাগীরথী ভবনে বৈঠক করেন। আলোচনায় সব দলের প্রতিনিধিরাই নতুন করে ‘অ্যাশ পন্ড’ তৈরির বিরোধিতা করেন।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সোমেন পান্ডে, কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আবুল হাসনাৎ খান এক সুরে জানান, এর ফলে ঝাড়খন্ডের পাহাড়ি জলের নিকাশি ব্যবস্থা মার খাবে। ফলে তিলডাঙা, ধর্মডাঙা, নিশ্চিন্দ্রা, ঘোড়াইপাড়া এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে। এ ছাড়াও এলাকায় দূষণও বাড়বে।
ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুব্রতবাবু বলেন, “স্থানীয় মানুষের আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আবার উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এনটিপিসির উদ্বৃত্ত ছাইয়ের পরিমাণও মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। ইট ও সিমেন্ট তৈরি, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মাটি ভরাটের কাজে ব্যবহারের পরও এনটিপিসি-র ছাই অবশিষ্ট থাকছে। তাই নতুন ‘অ্যাশ পন্ড’ তৈরি জরুরী। এ দিনের বৈঠকে কোনও সহমতে পৌঁছনো যায়নি। বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে। ভাবনা চিন্তা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।” এনটিপিসির তরফেও বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। |